১৭ বছরের মেয়েটাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ (Rape) করে গেছে দাদা। এরপর একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে প্রেমিক ও তাঁর বন্ধু। এইটুকু বয়সেই জীবনের এত বড় ট্রমা সহ্য করতে পারেনি নাবালিকা। কাউকে বলার মত পরিস্থিতি ছিল না তাই মুখ লুকোনোর ঠিকানা ছিল বান্ধবীর বাড়ি। চার দিন নিখোঁজ থাকার পর গোটা বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ই-মেইলের মাধ্যমে জানায় ছাত্রী। স্কুল থেকে খবর যায় সরশুনা থানায় (Sarsuna Police)। অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মেয়েদের জীবনে সবথেকে কাছের বন্ধু বাবা-মা। তাঁরা অকালে চলে যাওয়ায় কিশোরীকে বড় করে তোলার দায়িত্ব ছিল দাদার কাঁধে। ২৮ বছরের দাদার সঙ্গে সরশুনার সোনামুখী এলাকার ফ্ল্যাটেই থাকতেন নাবালিকা। ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে নিজের বোনকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। লজ্জায় এই কথা কাউকে জানাতে পারেনি মেয়েটি। প্রেমিককে ভরসা করে সবটা বলার পর বন্ধুর উপস্থিতিতেই কিশোরীকে ফের ধর্ষণ করে ১৯ বছরের ওই যুবক। তারপর গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করে প্রেমিকের বন্ধু বলে অভিযোগ। তিনিও কুকর্মে সামিল। অসহায় নির্যাতিতা আতঙ্কে পাথর হয়ে যায়, মুখ লুকায় বান্ধবীর বাড়িতে। এ ঘটনা কোন গ্রাম বা মফস্বলের নয়, খাস কলকাতার বেহালা এলাকার। প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে খবর পাওয়া মাত্রই বন্ধুর বাড়ি থেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে শিশু সুরক্ষা কমিশনে পাঠিয়েছে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে সেখানে দাদার পাশাপাশি প্রেমিক ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ স্পষ্ট করে নাবালিকা। তাঁর ভিত্তিতে পকসো আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সরশুনা থানা। অভিযুক্ত দাদা ও প্রেমিককে আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে, প্রেমিকের বন্ধু নাবালক হওয়ায় তাঁকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সদস্যদের সামনে পেশ করা হয়।