দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার এজেন্সি ষড়যন্ত্রের মাঝেই এবার বড় ঘোষণা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান কেজরি ঘোষণা করলেন, শুক্রবারই বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব আনবেন। এমনিতে বিধানসভায় সংখ্যার নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে আপের তাহলে হঠাৎ কেন এই ঘোষণা তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।

দিল্লিতে আপের বিরুদ্ধে হাত ধুয়ে নেমে পড়েছে বিজেপি। সম্প্রতি কেজরি অভিযোগ করেন বিজেপি তাঁর দলের বিধায়কদের ‘কেনা’র চেষ্টা করছে। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তরফে আপ বিধায়কদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাব ‘রেকর্ড’ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন কেজরী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের সাত জন বিধায়কের দলবদলের জন্য বিজেপির তরফে ২৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে।’’ অন্যদিকে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় শনিবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে কেজরিওয়ালকে হাজিরা দিতে বলেছেন বিচারক। এই মামলায় মোট ছ’বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছে ইডি। কিন্তু পাঁচ বারই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। সেই কারণে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লাগাতার এই টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর প্রতি দলের বিধায়কদের কতখানি সমর্থন রয়েছে তা যাচাই করে নিতেই কেজরির এই ঘোষণা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

উল্লেখ্য, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ‘জাদুসংখ্যা’ ৩৬। আপের বিধায়ক ৬২ জন। বিজেপির মাত্র আট। ফলে সংখ্যার হিসেবে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবেন কেজরি। তাহলে কেন আস্থাভোট? তার অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
