“মানুষের প্রতি অবিচার করেছি”: জালিয়াতির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ পাক নির্বাচনী কর্মকর্তার

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার আগেই দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন পাকিস্তানের নির্বাচনী কর্মকর্তা।

নির্বাচনে (Election) উঠে এসেছে ভুরি ভুরি জালিয়াতির অভিযোগ। ইতিমধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court of India) দায়ের হয়েছে অভিযোগ। আর এমন পরিস্থিতিতে আচমকাই নিজের মাথায় সব দায় নিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের (Pakistan) নির্বাচনী কর্মকর্তা (Poll Official)। পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডির ভোট কর্মকর্তা লিয়াকত আলি চাট্টা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, “আমি সমস্ত অন্যায়ের দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। তিনি এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, এই পুরো ঘটনাটিই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) এবং পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির (Chief Justice Pakistan) অঙ্গুলিহেলনেই হয়েছে। আর এমন তথ্য সামনে আসার পরই পাকিস্তানের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর ডামাডোল। তবে এখানেই শেষ নয়, নির্বাচনী কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনের মানুষের প্রতি অবিচার করেছেন তিনি।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে গোটা ভোট প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলি খান নামে এক পাক নাগরিক। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার আগেই দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন পাকিস্তানের নির্বাচনী কর্মকর্তা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতায় ফিরতে না পারে তার জন্য একেবারে আঁটঘাঁট বেধেই নেমেছিল পাকিস্তান সেনা ও নির্বাচন কমিশন। যদিও তাতে লাভের লাভ তো হয়নি উল্টে জেলে বসেই ২৬৫ আসনের মধ্যে ইমরানের দলের সমর্থিত প্রার্থীরা ৯২ আসনে জয়ী হয়েছেন। নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ ৭৫ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়। তবে সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগার টপকাতে পারেনি কোনও দলই। যদিও পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও পিপিপিকে জোট বেঁধে ইতিমধ্যেই সরকার গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান।

কিন্তু উলটোদিকে সরকার গঠনের পক্ষে ১০০ শতাংশ আশাবাদী ইমরান খান। জেলে বসে বসেই একের পর এক ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তিনি। এরমধ্যেই পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ-এর প্রবীণ নেতা আসাদ কায়সার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরানের সঙ্গে কারাগারে দেখা করেন। পরে জেল থেকে বেরিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ইমরান খানের মনোনীত প্রার্থী ওমর আইয়ুব খানের নাম ঘোষণা করেন। ওমর আইয়ুব খান বর্তমানে পিটিআই’র সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।