ফের ভারত মহাসাগরে জাহাজের আগমন! মালদ্বীপের ‘চিন যোগে’ বাড়ছে উদ্বেগ

বিগত দু’মাস ধরে সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে এক রাস্তায় না হেঁটে চরম ব্যাকফুটে মালদ্বীপ সরকার (Maldives)। আর এমন আবহে সামনে এল চমকে দেওয়ার মতো খবর। এবার ভারতের (India) উদ্বেগ বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের জলসীমায় আচমকাই প্রবেশ করল চিনের জাহাজ (Chinese Ship)। তবে সেটিকে নজরদারি নয়, গবেষণা জাহাজ বলেই দাবি চিনের (China)। আর ভারতের সঙ্গে এমন অবস্থায় চিনের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ মালদ্বীপ বাড়াতে চাইছে বলে সূত্রের খবর। যদিও বিষয়টিকে একেবারেই চোখের আড়াল হতে দিতে চাইছে না ভারত। ইতিমধ্যে ওই জাহাজে কড়া নজর রাখছে নৌসেনা। তবে আচমকা এই জাহাজের আগমন এমন নতুন কিছু নয়, সূত্রের খবর, তিন মাস আগেও এমন একটি জাহাজ চিন থেকে মালদ্বীপে পাঠানো হয়েছিল। যদিও তা অস্বীকার করে দু’দেশই।

বৃহস্পতিবার মালদ্বীপে চিনের যে জাহাজ এসে পৌঁছেছে, তার নাম শিয়াং ইয়াং হং ০৩। এটি চিনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের অধীন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো হয়েছে। মাসখানেক আগে জাহাজটি দক্ষিণ চিনের বন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল বলে খবর। তবে গত জানুয়ারি মাসের পর থেকেই মালদ্বীপে ধীরে ধীরে নৌবাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে চিন। আর তার জেরে ভারত মহাসাগরের হাত ধরে দেশের বিপদ যে বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ নয়াদিল্লির। যে কারণে শ্রীলঙ্কার কাছে জাহাজটির নোঙরে  সায় ছিল না ভারতের। পরে পড়শি দেশের অনুরোধ মেনে সেটিকে হাম্বানটোটা বন্দরে ভিড়তে দেয়নি কলম্বো। কিন্তু চিনের দাবি অনুযায়ী জাহাজটিকে নোঙরের অনুমতি দেয় মালদ্বীপ। যা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না ভারত।

সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় ওঠে। সমাজমাধ্যমে ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ডাক ওঠে। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিন সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে জানিয়ে দেন, তাদের দেশ থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের এই টানাপড়েনের মাঝেই মালদ্বীপের আরও কাছাকাছি আসছে চিন। তবে মালদ্বীপে জাহাজ পাঠানো প্রসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে কাজ করবে জাহাজটি। ওই জাহাজের গবেষণা, অনুসন্ধানকে বিজ্ঞানের উন্নতির কাজে লাগানো হবে।