হাওড়ায় গেরুয়া নেতার দেহব্যবসা চক্র, বিজেপিকে কটাক্ষ করে সরব সায়নী

সন্দেশখালিতে অশান্তি জিইয়ে রাখতে তৎপর বঙ্গ বিজেপি। রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া গেরুয়া শিবির শান্ত সন্দেশখালিকে অশান্ত করতে লাগাতার উস্কানি দিয়ে চলেছে। সন্দেশখালিতে উস্কানির আগুন জ্বালাতে তৎপর বিজেপিকে এবার কড়া আক্রমণ শানালেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। হাওড়ায় বিজেপির নেতা সব্যসাচী ঘোষের নেতৃত্বে দেহ ব্যবসা চালানোর ঘটনা তুলে সরব হলেন সায়নী।

শুক্রবার সন্দেশখালিতে উস্কানি দিতে বেড়মজুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। যদিও তাঁদের কলকাতাতেই আটকে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় সরব হতে দেখা যায় বিজেপির আইটি সেলকে। বিজেপির অমিত মালব্য টুইটারে লেখেন, বিজেপি নেতৃত্বের সন্দেশখালি সফর আটকাতে যে শক্তি খরচ করছে পুলিশ, তার অর্ধেক যদি সন্দেশখালিতে খরচ করত তাহলে শাহজাহান গ্রেফতার হত। বিজেপির এই টুইটের পাল্টা টুইট করেন সায়নী ঘোষ। তিনি লেখেন, “আপনি কি জানেন যে আপনাদের বিজেপি নেতা সব্যসাচী ঘোষ হাওড়ায় নাবালিকা মেয়েদের দিয়ে দেহব্যবসা চালাচ্ছেন। আমরা কি এমন আশা করতে পারি যে আপনাদের দলের নেতারা সেখানকার নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করবেন ও এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানাবেন?”

উল্লেখ্য, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সাঁকরাইলের ধূলাগড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেল থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন হোটেলের মালিক এবং আন্দুলের বাসিন্দা সব্যসাচী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর দলবল দীর্ঘ দিন ধরে ওই হোটেলে নাবালিকা মেয়েদের এনে দেহব্যবসা চালাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে দু’জন নাবালিকা ও চার জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকেও উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মানবপাচার এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মহিলাদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় লিলুয়া হোমে। দু’জন নাবালিকাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতের পকসো এজলাসে হাজির করানো হয়। ওই হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর মুখের কালি ঢাকতে দলের হাওড়া সদর সাংগঠনিক জেলার কিসান মোর্চার সম্পাদক সব্যসাচীকে ছেঁটে ফেলতে মরিয়া বিজেপি। দাবি করা হচ্ছে, কোনও পদে থাকা তো দূরের কথা, ধৃতের সঙ্গে দলের কোনও যোগই নেই। যদিও চলতি মাসে হাওড়া সদরে বিজেপি পদাধিকারীদের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে নাম ছিল সব্যসাচীর। সব্যসাচীকে এর আগে বিজেপি নেতা বলেই জানিয়েছিলেন দলেরর হাওড়া সদরের সম্পাদক ওমপ্রকাশ সিং। কিন্তু শুক্রবার হাওড়া সদর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি রমাপ্রসাদ ভট্টাচার্য দাবি করেন, দলের সঙ্গে সব্যসাচীর কোনও সম্পর্ক নেই।