Thursday, August 21, 2025

মন্দিরে বসানো যাবে না কর! কর্নাটক বিধান পরিষদের প্রশ্নের মুখে কংগ্রেসের ‘বিতর্কিত’ বিল

Date:

বছরে ১ কোটি টাকার বেশি অনুদান পাওয়া মন্দির (Temple) এবং অন্য হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদানের (Donations) ক্ষেত্রে করের হার ৫ শতাংশ। সম্প্রতি বিধানসভায় কর্নাটকের (Karnataka) কংগ্রেস সরকার কর্ণাটক হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিল পাশ করিয়েছে। কিন্তু হিন্দুত্বের প্রশ্ন তুলে বিধানসভায় পাশ হলেও বিধান পরিষদে বড় ধাক্কা খেল সিদ্দারামাইয়া সরকার (Siddaramaiah Govt)। কংগ্রেস বিরোধী বিজেপি-জেডিএস জোটের বিধান পরিষদ সদস্যদের বাধায় এবার সেই বিলের ভবিষ্যৎ এখন বড়সড় প্রশ্নের মুখে। আর গেরুয়া শিবিরের এমন পদক্ষেপের পরই বিরোধীদের জবাব, রাজ্যের যে সব মন্দিরে কোটি কোটি টাকা অনুদান পড়ে তাদের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হত। কিন্তু হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়েই লোকসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় ট্রাম্প কার্ড খেলল মোদি সরকার। যেখানে সরকার সাফ জানিয়েছিল সেই করের টাকা পরে মন্দিরের উন্নতিকল্পেই ব্যবহার করা হবে। করের এক টাকাও নেবে না কেন্দ্র।

তবে অঙ্কের হিসাবেও আইনসভার উচ্চকক্ষে এগিয়ে ছিল বিরোধী বিজেপি-জেডিএস জোট। বিজেপির ৩৫ এবং জেডিএসের ৮ জন সদস্য থাকলেও কংগ্রেসের পক্ষে রয়েছেন মাত্র ৩০ জন। এক জন নির্দল এবং একটি আসন খালি রয়েছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সরকার বিধানসভায় যে বিল পাশ করিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বছরে ১ কোটি টাকার বেশি অনুদান পাওয়া মন্দির এবং অন্য হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদানের ক্ষেত্রে করের হার ধার্য করা হয় ৫ শতাংশ। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। লোকসভা ভোটের আগে হিন্দুত্বের ইস্যুকে সামনে রেখে ময়দানে নেমেছে বিজেপি।

গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার নাকি হিন্দুবিরোধী। আর সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার পুত্র তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিজয়েন্দ্র বলেছিলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের কংগ্রেস সরকার ধারাবাহিক ভাবে হিন্দুবিরোধী নীতি গ্রহণ করছে। এবার হিন্দু মন্দিরের অনুদানের দিকেও দৃষ্টি দিয়েছে।’’ যদিও বিজেপির সব অভিযোগ উড়িয়ে কর্নাটকের পরিবহণ মন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডি সাফ জানিয়েছেন, করের টাকা সরকার নেবে না। হিন্দু ধর্মস্থানগুলির উন্নয়নে সেই টাকা ব্যবহার করা হবে। আর তা নিয়েই নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি”। তবে লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে হিন্দুত্বে ভর করে বৈতরণী পার করার চেষ্টায় মোদি সরকার। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন তারই এক মাস্টারস্ট্রোক। কিন্তু ‘হিন্দুবিরোধী’ বিল আটকে আখেরে বিজেপির কোনও লাভের লাভ হয় কী না সেদিকে নজর থাকবেই।

 

 

 

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...
Exit mobile version