বেড়মজুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর পুলিশ! স্থানীয়দের অভিযোগ শুনতে তৈরি ক্যাম্প

শান্তি বজায় রাখাই লক্ষ্য। শুক্রবার রাত থেকেই বেড়মজুর, ঝুপখালি এলাকায় মোতায়ন বিশাল বাহিনী। পাশাপাশি কাঠপোল নতুন বাজার এলাকায় তিনটি সিসিটিভি (CCTV) বসানো হয়েছে নজরদারির জন্য। শনিবার সকাল থেকে এলাকায় মোতায়েন জরা হয়েছে র‍্যাফ (RAF) এবং কমব্যাট ফোর্স (Combat Force)। নতুন করে যাতে আর অশান্তি না ছড়ায় সেদিকে কড়া নজর রয়েছে পুলিশের (Police)। অন্যদিকে, সূত্রের খবর, শনিবার সকাল থেকেই SDPO হাসনাবাদ এবং আইসি হাসনাবাদ ছাড়াও ডিআইজি বারাসত রেঞ্জ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া সাধারণ মানুষের সমস্যা মেটাতে কাঠপোল নতুন বাজারে পুলিশের তরফে তৈরি করা হয়েছে কমপ্লেন ক্যাম্প (Complaint Camp)। গ্রামের বাসিন্দারা যাতে নিজেদের যে কোনও ধরনের অভিযোগ , সমস্যা প্রশাসনকে জানতে পারেন সে কারণেই কমপ্লেন ক্যাম্পের নির্দেশ ডিআইজি বারাসত ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেড়মজুর ও ঝুপখালিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। অশান্তির ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এদিনও ফের দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তৃণমূল নেতার পরিবারের উপর ‘হামলার’ অভিযোগ। তৃণমূল নেতা বিনয় সর্দারের বাবা ও ভাইকে দেখে তেড়ে যান গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যে ২ গ্রামবাসীকে আটক করেছে পুলিশ।

এলাকা ভিত্তিক সেই ক্যাম্পগুলিতে স্থানীয়দের অভিযোগ শুনবে পুলিশ। যে কোনও ধরনের অভিযোগ জানানো যাবে সেখানে। তার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। পাশাপাশি জানানো হয়েছে প্রতিটি ক্যাম্পে একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। এছাড়াও থাকবেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তবে এক সঙ্গে অনেকে না এসে ২-৩ জন করে এসে অভিযোগ জানানোর জন্য স্থানীয়দের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দিনভর অশান্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালির বেড়মজুর-ঝুপখালি এলাকা। বিরোধীদের লাগাতার প্ররোচনায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ। যদিও পুলিশ বাধা দিতে গেলেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আর সেকারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রাজ্য পুলিশ। শনিবার সেই ছবিই দেখা গেল।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পে সব সময় একজন করে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। তবে শুধু অভিযোগ জমা নেওয়া হয়, দেওয়া হবে রিসিভ কপিও। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দাবি পুলিশ কর্তাদের।