সম্প্রতি মানুষের অভাব, অভিযোগ, বঞ্চনা, অভিমান নিয়ে তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeskhali)। এখানকার ২ নম্বর ব্লকের অর্থনীতির মূল ভিত্তি ভেড়ি ও মৎস্যচাষ। ব্যাপক হারে চিংড়ি, ভেটকি চাষ হলেও তা বাইরে বিক্রি করা সম্ভব ছিল না মৎস্যচাষীদের। এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের প্রভাবেই চলত গোটা সিস্টেম।

এবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সন্দেশখালিতে মৎস্যচাষীদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার দ্বীপ এলাকার এই অংশে যাতায়াতের বড় মাধ্যম নৌপথ। নদীর জেটিঘাট সরকারের হলেও ‘বেনামে’ তারও মালিক ছিলেন সন্দেশখালির প্রভাবশালীরা। তবে এবার মানুষের যাতায়াতকে আরও সুগম করতে উদ্যোগী হল রাজ্য পরিবহণ দফতর। সন্দেশখালিতে উন্নতমানের জেটিঘাট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি এলাকার বেশ কয়েকটি ফেরিঘাট ঘুরে দেখেন। নতুন জেটি তৈরির জন্য মাপজোপ করেছেন তাঁরা।
সন্দেশখালির দুটি ব্লকের কার্যত জলবেষ্টিত। রয়েছে রায়মঙ্গল, কালিন্দী, কলাগাছিয়া সহ একাধিক নদী। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য নৌকোই একমাত্র ভরসা। বর্ষায় ঝুঁকি নিয়েই বাইক পারাপার করান বাসিন্দারা। কিন্তু চার, ছয় বা আরও বেশি চাকার গাড়ির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই সন্দেশখালির দ্বীপ অংশের। বেশি মাত্রায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের সমস্যা রয়েই গিয়েছে। সেই সমস্যা মেটাতেই পরিবহণ দফতরের নতুন উদ্যোগ।

জানা গিয়েছে, ধামাখালি ও সন্দেশখালি সংযোগে নদীপথে যোগাযোগ আরও সহজ করতে উন্নতমানের জেটিও ভেসেল তৈরি হবে। এই ভেসেলে করে যাত্রী ও পণ্যবাহী বড় গাড়ি নদী পারাপার করতে পারবে। আরেক দ্বীপাঞ্চল হিঙ্গলগঞ্জে যেমন আধুনিক জেটি এবং ভেসেল রয়েছে, সেই আদলেই তৈরি হবে সন্দেশখালিতে। ধামাখালি থেকে ভায়া তুষখালি হয়ে ভেসেল যাবে সন্দেশখালিতে।
