অপরিচিত মহিলাকে ‘ডার্লিং’ বলা অপরাধ, হতে পারে ৩ বছরের জেল

বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিতে এই ধরনের সম্মোধন কোনও সমমানসিকতার পরিচয় দেয় না। ফলে অপরিচিত মহিলাদের এই ধরনের সম্মোধনের অনুমতি দেয় না আদালত।

অপরিচিত কোনও মহিলাকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্মোধন করা যৌন অর্থবহ এবং অপমানজনক। পুলিশকর্মীকে এই ধরনের সম্মোধন করার একটি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের পোর্টব্লেয়ার সার্কিট বেঞ্চের। ঘটনায় পুলিশকর্মীকে অপমান করা যুবকের শাস্তির নির্দেশ বহাল রাখে আদালত।

২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্দামানের মায়াবন্দরে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল এলাকায় কিছু দুষ্কৃতীদের অভব্য আচরণের খবর পেয়ে পৌঁছায় পুলিশের একটি দল। দুষ্কৃতীদের মধ্যে জনক রাম নামে এক ব্যক্তি কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে ডার্লিং বলে সম্মোধন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিতে এই ধরনের সম্মোধন কোনও সমমানসিকতার পরিচয় দেয় না। ফলে অপরিচিত মহিলাদের এই ধরনের সম্মোধনের অনুমতি দেয় না আদালত।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ(আই) অনুযায়ী এধরনের সম্মোধনকে যৌন অর্থবহ ও অপমানজনক বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। আবেদনকারী জনক রামের আবেদন বাতিল করে আদালত।

Previous articleএবার টালিগঞ্জ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে উঠল তৃণমূলের গর্জন
Next article‘জেতার জন্য বড় নামের দরকার নেই’, ফের নাম না করে কোহলি-রাহুলদের খোঁচা গাভাস্করের