ভোটের মুখে ‘কুমিরের কান্না’, চটকল নিয়ে লকেটকে কটাক্ষ ঋতব্রতর

তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার প্লাস্টিক লবি বা সিন্থেটিক লবিকে প্রোমোট করতে গিয়েই বাংলার চট শিল্পের প্রতি অনীহা দেখাচ্ছে, এর ফলে ধ্বংসের মুখে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্যশালী পাট শিল্প।'

পাঁচবছর ধরে বিজেপির সাংসদ যে কাজ করেননি, এবার সেই পাটশিল্পের সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে দাবি করেন গ্যাঞ্জেস জুটমিল নিয়ে পাঁচবছর কোনও উদ্যোগ নেননি বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের পাটশিল্পে অনিহা নিয়েও তোপ দাগেন ঋতব্রত।

মঙ্গলবার হুগলির বাঁশবেড়িয়ার গাঞ্জেস জুটমিল সংলগ্ন ঝান্ডা ময়দানে প্রকাশ্য জনসভায় যোগ দেন আইএনটিটিইউসির সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুর তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিধায়ক অরিন্দম গুইন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার উপপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তাঁর দাবি, ‘লকেটদেবী আপনি বড্ড দেরি করে ফেলেছেন। আপনি পাঁচ বছর ধরে এখানকার এমপি, এতদিন আপনার কোন হুঁশ হয়নি। আর নির্বাচন ঘোষণার মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি, এখন এসে আপনি শ্রমিকদের জন্য কুমিরের কান্না জুড়েছেন।’

স্থানীয় শ্রমিকরা তাঁর কাছে অভিযোগ জানান, মিলের মালিকপক্ষ তাদের উপর দমন পীড়ন চালাচ্ছেন। তার উত্তরে ঋতব্রত জানান, ‘এ বছর জানুয়ারি মাসে বাঁশবেড়িয়া জুটমিল নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল। রাজ্য সরকার, শ্রমিক সংগঠন, এবং মালিকপক্ষ চুক্তিপত্রে সই করেছিল। কিন্তু অভিযোগ এখানকার মালিকপক্ষ তাদের সেই প্রতিশ্রুতি মানছেন না। এটা যদি হয় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এই প্রসঙ্গেই তিনি কেন্দ্রের পাট নিয়ে নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার প্লাস্টিক লবি বা সিন্থেটিক লবিকে প্রোমোট করতে গিয়েই বাংলার চট শিল্পের প্রতি অনীহা দেখাচ্ছে, এর ফলে ধ্বংসের মুখে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্যশালী পাট শিল্প।’

Previous articleআইপিএল শুরুর আগেই বড় ধাক্কা চেন্নাই শিবিরে, আঙুলে চোট পেলেন ধোনির দলের এই তারকা ক্রিকেটার
Next articleবিএসএফ-এর হেফাজতে মৃত্যু যুবকের, তদন্তে পুলিশ