পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে। প্রতিবেশী মালদ্বীপকে সঙ্গে নিয়ে তোপ দাগছে চিন। এই পরিস্থিতিতে চিন ও পাকিস্তানকে বাগে আনতে নতুন পথে ভারতের বিদেশমন্ত্রক (Ministry of External Affairs)। নতুন করে সম্পর্ক মেরামতি শুরু আফগানিস্তানের সঙ্গে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির জরুরি বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি (Jt. Secretary) জে পি সিং। সম্প্রতি চিন আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করার পরেই নতুনভাবে তৎপর ভারতের বিদেশমন্ত্রক।

বৃহস্পতিবার কাবুলে দুদেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মূলত রাজনৈতিক বিষয়গুলির সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে যাতায়াত যোগাযোগ সহজ করার পথ খোঁজা হয়। একদিকে আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে যেমন আফগানদের ভারতে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ব্যবসায়িক কারণে ভারতে ঢোকার ক্ষেত্রে ভিসার পদ্ধতি সহজ করার বিষয়ে বলা হয়। আবার ভারতের তরফেও বাণিজ্যিক কারণে ইরানের চাবাহার (Chabahar) বন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্যে সহযোগিতার আবেদন করা হয়। পাকিস্তান লাগোয়া এই বন্দর যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে পারলে প্রতিবেশী দেশের ওপরও চাপ বজায় থাকবে।
ভারত প্রায় আড়াই বছর ধরে আফগান সাধারণ মানুষের উন্নয়নে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। ইতিমধ্যেই আইএস (IS) ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি থেকে সাধারণ আফগানদের মুক্তি দিতে ভারত সাহায্য করছে আফগানিস্তানকে। পাশাপাশি মাদক সমস্যা ও দুর্নীতি ইস্যুতেও ভারতের সাহায্য যথেষ্ট প্রয়োজন তাদের। তবে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে এখনও কূটনৈতিক (diplomatic) সম্পর্ক গড়ে না ওঠা তালিবান সরকারের সঙ্গে ভারতের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক কূটনৈতিক ও ভারতের নিরাপত্তা ইস্যুতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। আবার অবারিত দ্বার নীতি নিরাপত্তার সমস্যা আনবে না, এমন নিশ্চয়তাও নেই।
