Sunday, November 9, 2025

তমলুকে তৃণমূলের দেবাংশু, চ্যালেঞ্জের মুখে কি বিজেপির অভিজিৎ?

Date:

Share post:

প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় তালিকা এখনও প্রকাশ করতে পারেনি বিজেপি। মাঝে দু একটি যোগদান নিয়ে শোরগোল হলেও আদৌ তাঁদের নাম প্রার্থী তালিকায় থাকছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে না। অন্যদিকে ব্রিগেডের সভা থেকে রবিবার একসঙ্গে রাজ্যের ৪২টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। আর সেই তালিকার অন্যতম চমক দলের তরুণ ও যুক্তিবাদী নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। নারী দিবসের মঞ্চ থেকে যে ইঙ্গিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, তা সত্যি হল ব্রিগেডে।

বিজেপি সূত্রে প্রার্থী ঘোষণা করা না হলেও দেওয়াল লিখন হয়েছে তমলুক কেন্দ্রে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। সেই সূত্রে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে বিচারপতির আসন ছেড়ে রাজনীতিতে ফায়দা খোঁজা অভিজিৎকেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের প্রার্থী হিসাবে। রবিবার সেই তমলুকে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হল তৃণমূল মুখপাত্র তথা সোশ্যাল মিডিয়া ও আইটি সেল উইংয়ের রাজ্য সভাপতি দেবাংশুর নাম।

বিজেপি আসানসোলে ভোজপুরি শিল্পীকে প্রার্থী ঘোষণা করার পর তাঁর যাবতীয় কুকথা, কুরুচিকর ভিডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালিয়েছিল তৃণমূল। বাংলার মহিলাদের প্রতি বিজেপি প্রার্থীর তৈরি গানের ভিডিও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে। বাধ্য হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাম প্রত্যাহার করে বিজেপি। আর এর সিংহভাগ কৃতিত্ব দেবাংশুর। এবার সেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন বিতর্কিত প্রাক্তন বিচারপতি।

ইতিমধ্যেই নিয়োগ মামলায় প্রাক্তন বিচারপতির রায়ের কারণে বহু চাকরিপ্রার্থীর চাকরি বাতিল হওয়া নিয়ে তোপ দেগেছে তৃণমূল। সেই পরিস্থিতিতে বাংলার যুব সমাজের চাকরির দাবি নিয়ে অভিজিতের বিরুদ্ধে প্রচারে নামার সম্ভাবনা দেবাংশুর।

দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, “সব রাজনৈতিক দল যাঁরা তমলুকে লড়াই করবে তাঁদের উদ্দেশে বলব, একটা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠ ভোট হোক। তমলুকে আদর্শ ভোট হোক। এটাই চাইব। আমরা কাজের উপর ভোট চাই মানুষের কাছে। একজন সাংসদ হিসেবে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের জন্য কী কাজ করতে পারব মানুষের জন্য সেটা আমার বার্তা থাকবে মানুষের প্রতি।”

প্রতিপক্ষে বিজেপি প্রার্থী সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে বলেন, “হালকা উত্তেজনা তো রয়েছেই। জীবনে প্রথম লড়াই লড়ছি এবং সবথেকে বড় লড়াইটা। আমি গোটা রাজ্যে কাজ করেছি। গত বিধানসভা নির্বাচনের যদি জেলা হিসেবে ধরা যায় তাহলে পূর্ব মেদিনীপুরে সবথেকে বেশি কাজ করেছি। মানুষের গড়, কোনও ব্যক্তি বা পরিবারের গড় হতে পারে না। আমার ধারণা মানুষ স্বাদ বদলাতে চাইছে। আমার উল্টোদিকে যেসব দলের প্রার্থী থাকবেন তাঁদের জন্যও শুভেচ্ছা থাকবে। দুদিন আগে ৬১ বছরের একজন সদ্য রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ব্যক্তি বেশি তাড়াতাড়ি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন নাকি ৫ বছর ধরে রাজনীতির ময়দানে কিছু কিছু করে শিক্ষা নিয়ে ২৮ বছরের যুবক দ্রুত দৌড়ে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন? এই বিচারটা তমলুকের মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়া ভাল।”

spot_img

Related articles

সংকটে ভারতীয় ফুটবল, কঠিন সময়ে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই তারকা

ভারতীয় ফুটবলে বিপণন করার কেউ নেই।দেশের সর্বোচ্চ লিগ না হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ভারতীয় ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।...

কীভাবে দত্তাবাদে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী: এবার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা। সোনার ব্যবসা করতেন নিউটাউনের দত্তাবাদে। দেহ পাওয়া গেল যাত্রাগাছির কাছে। খুনে নাম জড়ালো জলপাইগুড়ির...

‘ভূত বিড়াল’ কি শুধুই কল্পনার কাহিনী? বাস্তবে কোথায় দেখা গেল চাঁদনি রাতের বিড়াল

কালো নয়। ডোরা কাটাও নয়। বন বিড়াল। তবে সাদা। দেখা যায় শুধুই চাঁদনি রাতে। মানুষের থেকে ভূতের সঙ্গেই...

ইডেনে ব্যাটিংয়ে জোর দিতে চান গম্ভীর! ভাবনায় দুই কিপার

চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামছে ভারত। ইডেনের প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশ কেমন...