জল যন্ত্রণায় জেরবার বেঙ্গালুরু কি ‘ডে জিরো’র দিকে এগোচ্ছে ?

স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, শহরের বেশির ভাগ নলকূপ শুকিয়ে যাওয়ার কারণেই এই অবস্থা। বেড়েছে জলের জন্য হাহাকার।

জল যন্ত্রনায় জেরবার বেঙ্গালুরু।আর সেই জল কিনতে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে আম জনতার। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে দেশের হাইটেক সিটি বেঙ্গালুরুতে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এক বালতি জল কিনতে খরচ পড়ছে এক হাজার থেকে ২ হাজার টাকা। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিনমাস ধরেই চলছে জলের সমস্যা। তবে গত কয়েকদিনে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, শহরের বেশির ভাগ নলকূপ শুকিয়ে যাওয়ার কারণেই এই অবস্থা। বেড়েছে জলের জন্য হাহাকার।

পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছেছে কেপ টাউনের স্মৃতি ফিরে আসছে। ২০১৮ সালে ভয়ানক আকার ধারণ করে কেপ টাউনের খরা পরিস্থিতি। তীব্র জলকষ্টের সম্মুখীন হয়েছিলেন প্রায় ৪০ লক্ষ বাসিন্দা।তাই ২০১৮ সালের ১২ মে তারিখটিকে ‘ডে-জিরো’ হিসেবে চিহ্নিত করে কেপ টাউন পুরসভা অর্থাৎ ১২ মে থেকে শহরের কোনও কলে আর জল পড়বে না, বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। আর এবার দেশের সেই  সিলিকন ভ্যালিতে কেপটাউনের ছায়া দেখতে পারছেন বিশেষজ্ঞরা।তথ্য বলছে, একসময় প্রায় ২৮৫টি হ্রদ ছিল বেঙ্গালুরুতে।অথচ এখন বেঙ্গালুরুতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর কমে যাওয়ায়  জলাধারগুলি সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে।গোদের ওপর বিষফোঁড়া  বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়া এবং  নিঃশেষিত বোরওয়েল। নলকূপের জল শুকিয়ে যাওয়া ও জল সরবরাহের অব্যবস্থা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তীব্র জল সংকটে ভুগছে ভারতের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরু।

যদিও সমস্যার সমাধান খুঁজতে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী সহ সরকারি আধিকারিকেরা। জলের সমস্যা সমাধানের জন্য সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে কর্ণাটক সরকার মোট ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যার মধ্যে ৭০ কোটি ব্যবহার করা হবে রাজ্যজুড়ে নতুন নলকূপ খননের জন্য। এখন দেখার কেপ টাউনের মত জল বাঁচানোর যুদ্ধে সত্যি জিততে পারে কিনা ভারতের সিলিকন ভ্যালি।

 

 

Previous articleহাসপাতালে লালু-পুত্র! শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন তেজপ্রতাপ যাদব
Next articleশুভেন্দুর ভাই বিজেপির জার্সি গায়ে চড়াতেই মোদিকে “পরিবারতন্ত্র” খোঁ.চা কুণালের