বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটের (Kalighat) বাড়িতে পড়ে গিয়ে আচমকাই গুরুতর চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কপালে গভীর ক্ষত হয়। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। এরপর তড়িঘড়ি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Abhishek Banerjee) তাঁকে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে নিয়ে যান। ইতিমধ্যে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালেও মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে আসবেন। তবে বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থিতিশীল রয়েছেন বলে খবর। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির চারপাশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বৃহস্পতিবার বিকেলে একডালিয়া পার্কে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি উন্মোচন সেরে বাড়ি ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর আচমকাই পড়ে যান তিনি। শোকেসে ধাক্কা লেগে মুখ্যমন্ত্রীর কপালে গভীর ক্ষত হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ভর্তি করা হয় উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে। পরে মুখ্যমন্ত্রীকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে। সেখানে তাঁর এক্সরে, ইসিজি, ইকো-কার্ডিওগ্রাম, ডপলার ও সিটিস্ক্যান করা হয়।
বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে চিকিৎসার পর রাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে কালীঘাটের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান অভিষেক। ইতিমধ্যে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালেও মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে আসবেন। তবে বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থিতিশীল রয়েছেন বলে খবর। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির চারপাশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তবে কীভাবে আচমকা এমন ধাক্কা লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়, ঘটনার তদন্ত করবে লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল। এদিন কালীঘাটের বাড়ি থেকে সকালে ঘুরে গিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, গেছিলেন ডিসি দক্ষিণবঙ্গ প্রিয়ব্রত রায়ও।
মুখ্যমন্ত্রীর কপালে তিনটি ও নাকে একটি সেলাই পড়েছে। তবে মমতার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় অভিষেক জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ভালো আছেন। পাশাপাশি এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় আরও জানিয়েছেন, আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। শুক্রবার পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসএসকেএমের অধিকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি আরও জানান, মূলত পিছন থেকে ধাক্কা খাওয়ার ফলে তিনি পড়ে যান। তাঁর সেরিব্রাল কনকাশন ছিল। সজোরে পড়ে যাওয়ার কারণে তাঁর কপালে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। তাই গল গল করে রক্ত পড়তে থাকে। এদিকে বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দেওয়া হলেও রাতেই বাড়ি ফিরে চান মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুক্রবার ফের তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।