ছাতু ব্যবসায়ীর অফিসে আয়কর দফতরের তল্লাশি, উদ্ধার ৫৮ লক্ষ টাকা

ওই পরিমাণ টাকার উৎস সম্পর্কে  কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী।

কলকাতায় এক ছাতু ব্যবসায়ীর অফিস থেকে মিলল বিপুল টাকা। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।চেতলায় ছাতু প্রস্তুতকারী সংস্থার অফিসে গত দু’দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।ভোটের মুখে এই পরিমাণ টাকা উদ্ধার হওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনেও জানানো হবে বলে আয়কর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। ওই পরিমাণ টাকার উৎস সম্পর্কে  কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী।

কোম্পানির ডিরেক্টর সত্যেন্দ্র প্রসাদ সাউ, স্ত্রী নমিতা সাউ ও মেয়ে সিমরণ সাউ এই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আয়কর দফতর। চুঁচুড়া, মধ্যপ্রদেশ এবং ডানকুনিতে কারাখানা, চুঁচুড়ায় হোটেল, কলকাতার বাড়ি এবং আরেকটি অফিস সব ৬ জায়গায় বুধবার দুপুর ১২টা থেকে তল্লাশি শুরু হয়, বৃহস্পতিবার রাত ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত তল্লাশি চলে।

ভোটঘোষণার পরেই দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়েছে। তার পর থেকে রাজ্যে কোথায় কত হিসাব-বহির্ভূত নগদ, মদ, মাদক উদ্ধার হয়েছে, বৃহস্পতিবার তার পরিসংখ্যান দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত এ রাজ্য থেকে ৭ কোটি ২ লক্ষ টাকা হিসাব-বহির্ভূত নগদ উদ্ধার হয়েছে।

ভোটের দিন ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, অবাধ, স্বচ্ছ ভোট করানোর ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হল চার ‘এম’— মাসল (পেশি), মানি (অর্থ), মিসইনফরমেশন (ভুয়ো তথ্য), এমসিসি (নির্বাচনী আচরণবিধি) লঙ্ঘন। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রথম দিন থেকেই সক্রিয় পদক্ষেপ করছে কমিশন। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে নগদ, মাদক, উপঢৌকন, দামি ধাতু।

১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট রাজ্যের তিন কেন্দ্রে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে হতে চলেছে ভোটগ্রহণ। কমিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তালিকা প্রকাশ পর্যন্ত কোচবিহারে ১৭ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে নয় কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে ১১ কোম্পানি, দার্জিলিঙে সাত কোম্পানি, উত্তর দিনাজপুরে সাত কোম্পানি, দক্ষিণ দিনাজপুরে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। রাজ্যে নাকা চেকিংয়েরও ব্যবস্থা চলছে। কমিশন জানিয়েছে, সীমানায় ৬২৯টি জায়গায় এবং রাজ্যের ভিতরে ৯১টি জায়গায় নাকা চেকিং চলছে। নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য সিভিজিল নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে কমিশন। সেই অ্যাপে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে কমিশন ১০০ মিনিটের মধ্যে তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে।