মতানৈক্য মিটিয়ে এককাট্টা হয়ে লড়াই: উত্তরের সাংগঠনিক বৈঠকে বার্তা অভিষেকের

সব দ্বন্দ্ব মিটিয়ে এককাট্টা হয়ে লড়াই করতে হবে। সোমবার উত্তরের সাংগঠনিক বৈঠক থেকে এই বার্তায় দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিধানসভা ধরে ধরে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এর আগে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার লোকসভা নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানেও একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। একই সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং তাঁর সংসদীয় তহবিলে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।

এদিন বিকেল ৫টা থেকে সাংগঠনিক বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। প্রথমে তিনি আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্বে সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও পরে দার্জিলিং জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়। সবকটি বৈঠকেই মূল সুর ছিল উত্তরের হারানো জমি ফেরাতে হবে। আর এই কারণে দীর্ঘ বৈঠকে অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, সব দ্বন্দ্ব, মতানৈক্য মিটিয়ে ফেলতে হবে। এককাট্টা হয়ে লড়াইতে নামতে হবে। তৃণমূল স্তর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তরের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে ১০০ শতাংশ কাজ করতে হবে।

অভিষেকের কথায়, নজর থাকবে বুথে। প্রতি বুথে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। তাহলেই কাঙ্খিত জয় আসবে। জয় মানে বিজেপির মতো মিথ্যাচার করে জয় নয়। মানুষের কাছে যেতে হবে। অভিযোগ শুনতে হবে। অভিযোগ শুনে ফিরে এলে চলবে না। তার সমাধান করতে হবে। তিনি নিজেও সেটা করেন। সারা রাজ্যে যেখানে মানুষ তাঁকে অভাব অভিযোগের কথা বলে, সেখানে সাধ্য মতো দ্রুত তা সমাধান করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন- এটা এখন জেনে গিয়েছে বাংলার মানুষ। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলাপরিষদ বা পুরসভায় কোনও সমস্যা থাকলে তা অবিলম্বে মেটানোর তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মতে, তাহলেই ভোটে জেতা স্বার্থক। তার কারণ, মানুষের কাজ করার জন্যই প্রতিনিধি নির্বাচন।