নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ, গোটা দেশে তৃণমূল প্রথমবার এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে প্রতিবাদে নামে। রবিবার দিল্লির রামলিলা ময়দানে কেন্দ্রের গ্রেফতারি থেকে কংগ্রেসের তহবিল আটকে রাখা ও জরিমানার বিরোধিতায় প্রবলভাবে সরব হয় I.N.D.I.A. জোট সদস্যরা। তারপরই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেসের আয়কর দফতরের জরিমানা আদায়ের বিরোধিতায় দায়ের হওয়া মামলায় পিছু হঠল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত কোনও জরিমানা আদায় করা হবে না। পরবর্তী শুনানির দিন জুলাই মাসে রাখার আবেদনও করা হয় কেন্দ্রের তরফেই। বিচারপতি বিভি নাগরত্না সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার পরে কংগ্রেসের তহবিলে কোপ বসায় আয়কর দফতর। এমনকি ২০১৪-১৫ সাল থেকে কংগ্রেসের বকেয়া আয়করের উপর জরিমানা দাবি করা হয় শুক্রবার। কেন্দ্রের দমনমূলক নীতির বিরোধিতায় রবিবার দিল্লির রামলিলা ময়দানে সমাবেশ করে বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A. জোট। সেখানেই রাহুল গান্ধী দাবি করেন কংগ্রেসের উপর আয়কর দফতরের গতিবিধি ঠিক নির্বাচনের আগেই করার ঘটনাই বিজেপির স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ। এমনকি ২০২৪ নির্বাচনে বিজেপিকে আবার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠা করার অর্থ দেশের মানুষের উপর স্বৈরাচারি শাসনকে আবার প্রতিষ্ঠা করে সংবিধানকে বিসর্জন দেওয়া। কংগ্রেসের এই দাবির সমর্থনে বিরোধী সবদলের সদস্যরা ঐক্যমত পোষণ করেন।

এরপরই সোমবার আয়কর দফতরের ২০১৬ সালে কংগ্রেসের উপর করা জরিমানার বিরোধিতায় করা মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ১০ বছর আগের আয়কর সংক্রান্ত জরিমানার নোটিশ কংগ্রেসের কাছে শুক্রবার পর্যন্ত পাঠিয়েছে, সেই কেন্দ্রের পক্ষের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান ২০১৬ সালের মামলায় এখনই কোনও আদায়ের পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। এবং তার কারণ হিসাবে দেখানো হয়, যেহেতু নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে।

সেই সঙ্গে সলিসিটর জেনারেল সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ধার্য করা হোক। সেই দিন পর্যন্ত আয়কর দফতরের দাবি করা ৩৫০০ কোটি টাকার বিজ্ঞপ্তিতেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। শুক্রবার তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কংগ্রেসের উপর আয়কর দফতরের ধার্য করা জরিমানার পরিমাণ বেড়ে ৩,৫৬৭ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছিল। তবে নির্বাচনে আগে সেই জরিমানায় স্বস্তি পেল কংগ্রেস।
