Saturday, August 23, 2025

সিএএ’র লেজুড় এনআরসি! বাংলার মানুষকে সতর্ক করল অসমের ভুক্তভোগী বাঙালিরা*

Date:

এবার লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election) এখনও পর্যন্ত যতগুলি জনসভা করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), তার প্রতিটিতেই বাংলার মানুষকে সিএএ (CAA)নিয়ে সতর্ক করেছেন তিনি। সিএএ যদি মাথা হয়, তাহলে এনআরসি হল ল্যাজা। অসমের ভুক্তভোগী বাঙালিরাও সেই কথাই বলছেন।

ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্সের (এনআরসি) জন্য নিজেদের ‘ভারতীয়’ প্রমাণ করার লড়াই করেছেন তাঁরা। এবার দেশে থাকার জন্য ‘বিদেশি’ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরাটাই চ্যালেঞ্জ তাঁদের সামনে। তাঁরা হিন্দু। কিন্তু যে রাজ্যের ভিটেমাটি আঁকড়ে তাঁদের দিন গুজরান, তা হল অসম। আজ বড় বিপাকে অসমের বরাক উপত্যকার বাঙালিরা। ভারতীয় হওয়ার যাবতীয় প্রমাণপত্র জমা দিয়েও এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে যে বা যাঁরা বাদ পড়েছেন, সিএএর জন্য এখন তাঁরা খুঁজছেন বাংলাদেশি নথি। একটা কলমের খোঁচায় বরাক উপত্যকার প্রায় ৯৬ হাজার হিন্দু বাঙালিকে নিজভূমে পরদেশি হয়ে যেতে হয়েছিল! ২০১৪ সালে শিলচরের জনসভা থেকে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তাতে আস্থা রেখেছিল বরাক তথা গোটা অসমের বাঙালি। কিন্তু প্রাপ্তি? ২০১৯’এর আগস্ট মাসে প্রকাশিত এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লক্ষের বেশি বাঙালির নাম বাদ। ২৩ লক্ষেরও বেশ মানুষের আধার কার্ড ‘ফ্রিজ’। নাম বাদ গিয়েছে ভোটার তালিকা থেকে, বন্ধ রেশন বরাদ্দ। আর তাই দুঃসহ এক যন্ত্রণা বুকে নিয়েও প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গকে সতর্ক করছেন বরাকের বাঙালিরা!

বাংলার বাসিন্দাদের জন্য তাঁদের সতর্কবার্তা—সিএএ’র ফাঁদে পা দেবেন না! আইনের তফসিল ১এ অনুযায়ী যে নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে, তার একটিও কি কারও পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব? ভুক্তভোগী এই বাঙালিদের কথায়, সিএএর লেজুড় তো এনআরসি। আজ না হোক কাল সেটাও আসবে বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া বাঙালিরা তো নিজেদের শুধু বিদেশি ঘোষণা করলেই মিলবে নাগরিকত্ব! কিন্তু বাকিরা?

অসমের ভুক্তভোগী এক বাঙালির কথায়, “১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে দাদু-বাবা পালিয়ে এসেছিলেন। হাইলাকান্দির মনচরা উদ্বাস্তু ক্যাম্পে ঠাঁই হয়েছিল তাঁদের। এক কাপড়ে পালিয়ে আসা লোকজনের এদেশের প্রমাণ বলতে ছিল উদ্বাস্তু সার্টিফিকেট। ২০১৪ সালে সন্দেহজনক ভোটার হিসেবে চিহ্নিত হই। তিন মাস ছিলাম শিলচরের ডিটেনশন ক্যাম্পে। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া উদ্বাস্তু সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলাম। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল মানল না। ২০২১ সালে বিদেশি নাগরিক বলে চিহ্নিত করা হল আমাকে। এবার বলা হচ্ছে, হিন্দুরা সব সিএএতে আবেদন করলেই হবে! মানে ভারতীয় প্রমাণের লড়াই থেকে সরে এসে এবার বিদেশি মানতে হবে নিজেকে?”

Related articles

হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া পেল স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওডিএফ প্লাস’ সার্টিফিকেট 

বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রান্তিক দুই শহর হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া এবার স্বচ্ছ ভারত মিশনের ‘ওপেন ডিফেকেশন ফ্রি প্লাস’ (ওডিএফ প্লাস)...

ফের ডুরান্ড কাপ জয় নর্থইস্টের

প্রতিযোগিতায় দুরন্ত শুরুটা করলেও শেষরক্ষা করতে পারল না। একটানা ম্যাচ। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের(North East United) বিরুদ্ধে খানিকটা ক্লান্তিটাই যেন...

‘মাখন চোর’ বলা যাবে না! কৃষ্ণের লীলা বদলানোর চেষ্টা মধ্যপ্রদেশে, কড়া জবাব বিরোধীদের

এবার বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আজব দাবি! কৃষ্ণের লীলা বদলানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। শ্রীকৃষ্ণকে ‘মাখন চোর’ বলায়...

মোদি-শাহ যেখানে যাবে, সেখানেই জিতবে তৃণমূল

মোদি-শাহ বাংলার যেখানে পা দেবে সেখানেই জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ওরা যত ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করবে তত ভোট বাড়বে...
Exit mobile version