Tuesday, November 4, 2025

২৪ হাজারের চাকরি যাওয়া ‘কঠোর’ সিদ্ধান্ত, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে SSC

Date:

কলকাতা হাইকোর্টের ‘কঠোর’ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের। মোট ২৪ হাজার জন সুপারিশ পত্র পেয়ে থাকলে, তাদের মধ্যে ৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে সিবিআইএর অভিযোগ ছিল। বাকি ১৯ হাজার জনের তালিকা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সওয়াল কমিশনের। সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে এসএসসি, জানালেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। পাশাপাশি যাদের নিয়ে তদন্ত তাদের মধ্যে এসএসসির সুপারিশ করা সুপার নিউমেরিক পদে কোনও চাকরিই হয়নি, একথাও জানান এসএসসি চেয়ারম্যান।

সোমবারের কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর প্রায় ২৪ হাজার চাকুরিজীবী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর জীবন নির্ভর করছিল। রায়ের শেষে সবার জন্যই কঠোর সময় নেমে আসে। শুধুমাত্র বীরভূমের ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি বাতিল হয়নি হাইকোর্টের রায়ে। তবে চাকরি বাতিল হওয়া নিয়ে এসএসসি চেয়ারম্যানের দাবি, “দীর্ঘ তদন্তের পরে ৫ হাজার মতো সংখ্যার চাকুরিরত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে তথ্য প্রমাণ ছিল। যেটা মহামান্য আদালত ২০২২ সাল থেকেই গ্রহণ করে চাকরি বাতিল করেছিলেন। তাহলে প্রায় ২৪ হাজার জনের তালিকা বাতিলের যে রায় তার বিরুদ্ধে আমরা শীর্ষ আদালতে যাব”।

আদালতের নির্দেশে প্রায় ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিলের রায় কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, তার বিরোধিতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ফলে তাঁদের চাকরি বাতিল না হলেও এই ৫ হাজার জনের মধ্যে নবম-দশম ও গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি কর্মীদের চাকরি বাতিল ইতিমধ্যে হয়েছে বলে জানান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সুপার নিউমেরিক পোস্টে যাদের নিয়ে তদন্ত, তাদের একটি পদের জন্যও এসএসসির সুপারিশে হয়নি বলে স্পষ্ট জানান তিনি। “সুপার নিউমেরিক পোস্টে শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার যে পদ তদন্তের অধীনের নেই তাদের মধ্যে ১২৮০ জনের সুপারিশ করেছিল এসএসসি। গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম শ্রেণির জন্য যে অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপার নিউমেরিক পদ তৈরি হয়েছিল সেখানে কোনও সুপারিশ করা হয়নি”, হিসাব দেন এসএসসি চেরায়ম্যানের।

তবে সম্পূর্ণ রায় পড়ে ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানান তিনি। অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলের তরফেও সোমবারের আদালতের রায়কে দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করা হয়। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, “যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি হোক, যারা যোগ্য প্রার্থী তাদের জন্য যেন পথ বন্ধ না হয়। রাজ্য সরকার তাদের এই বক্তব্য আদালতের কাছে বারবার বলার চেষ্টা করেছে। আদালতের রায়ে যোগ্যদের প্রতি সুবিচার হয়নি। ভুল সংশোধন করে সরকার যে চেষ্টা করেছিল তার মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের উপকার হত। সেই উপকারের দরজা আদালত খুলে রাখেননি। এই রায় দুর্ভাগ্যজনক।”

Related articles

মুখোমুখি যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়ি! ছত্তিশগড়ে বিরাট দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃত্যু

এমন দুর্ঘটনা যেন ছিল সময়ে অপেক্ষা। ভারতীয় রেলের নজিরবিহীন গাফিলতিতে ফের বড় সড় ট্রেন দুর্ঘটনা। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিলাসপুরে...

মুখ্যমন্ত্রীকে কুকথা! সমনের বিরোধিতায় বিজেপির কৌস্তভের আবেদন খারিজ হাই কোর্টে

হাই কোর্টের নির্দেশে আরও বিপাকে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত বিষয় তুলে অনলাইনে...

বাংলার একজনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে কেন্দ্রের বিজেপি-সরকার ভেঙে দেব: হুঁশিয়ারি মমতার

"বাংলার একজনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে কেন্দ্রে বিজেপির সরকার ভেঙে দেব"- মঙ্গলবার বাংলার ভোটাধিকার রক্ষার্থে আয়োজিত মহামিছিলের...

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে বন্দি ওড়িশার শ্রমিক, মস্করা করে ভিডিও প্রকাশ!

পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে গিয়েছিলেন পরিবারের প্রতিপালনের জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনকারীদের হাতে পণবন্দি (hostage)...
Exit mobile version