ফের মিঠুন ইস্যুতে দেবকে নরমে-গরমে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। যদিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে কারও নাম করেননি তিনি। তবে, সেটা যে তৃণমূলের ঘাটালের লোকসভা প্রার্থী দীপক অধিকারী (দেব) (Dipak Adhikari) সেটা কুণালের লেখা থেকেই স্পষ্ট। এর আগে ‘প্রজাপতি’ ছবি নিয়েও ঠাণ্ডা লড়াই হয়েছে কুণাল-দেবের। এবার অবশ্য তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পোস্টের কোনও জবাব দেননি দেব।
শুক্রবার, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X Handle) কুণাল (Kunal Ghosh) লেখেন, “দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দলবদল সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকদের আচরণ সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকেরা আমাদের দলের নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা করলেও তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আদিখ্যেতা করে নিজের ইমেজকে সর্বপন্থী উদার রাখার চেষ্টার নাম সৌজন্য। আর বিশ্বাসঘাতক দলবদলুদের ‘গদ্দার’ বলা হলে সেটা আপত্তির!“
দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দলবদল সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকদের আচরণ সমর্থনের। বিশ্বাসঘাতকরা আমাদের নেতা-নেত্রী-দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করলেও তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আদিখ্যেতা করে নিজের ইমেজকে সর্বপন্থী উদার রাখার চেষ্টার নাম সৌজন্য। আর বিশ্বাসঘাতক দলবদলুদের ‘গদ্দার’ বলা হলে সেটা আপত্তির!
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 26, 2024
তৃণমূল সভানেত্রীই মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chankraborty) রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের ছেলেকে বাঁচাতেই না কি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি (BJP) যোগ দেন মিঠুন। শুধু তাই নয়, রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন তিনি। এই নিয়ে কিছুদিন আগেই জনসভা থেকে তাঁকে দ্বিতীয় গদ্দার তথা রাজ্যের আরেক গদ্দার বলেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া তৃণমূল নেতৃত্বও শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি মিঠুনকেও ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করেন। এই নিয়েই গোঁসা মিঠুনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা দেবের। বলেন, মিঠুনের প্রয়োজনে নিজের কিডনি দিতে পিছুপা হবেন না। সেই বিষয়টি নিয়েই নাম না করে তীব্র খোঁচা দেন কুণাল। তাঁর কথায়, নিজের ইমেজ ঠিক রাখতেই উদারপন্থী প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন দেব। কিন্তু নিজের দলকে কেউ আক্রমণ করলে, তাঁর সঙ্গে সৌজন্য দেখানো বা তাঁকে গদ্দার বলে আক্রমণ করলে তাতে আপত্তি জানানো না সব জেনেও চোখ বুজে থাকার সামিল।