রাজভবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন চন্দ্রিমা!

শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ মোদি রাজভবন ছাড়তেই, বিমানবন্দরে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন সিভি আনন্দ বোস। বেলা বারোটা নাগাদ তিনি কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

রাজভবনে (Rajbhawan) প্রবেশের অধিকারে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যপালের নেই, বোসের কড়া চিঠির পরই সুর চড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। হুংকার দিলেন আইনি পদক্ষেপ নিয়েও। তাই কি ভয়ে ‘পালিয়ে’ যেতে হল রাজ্যপালকে? রাজভবনের অস্থায়ী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সন্ধ্যায় রাজভবনে কর্মরত পুলিশদের কাছে ছুটে যান ওই মহিলা। কাঁদতে কাঁদতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এরপরই সরব হন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতেই রাজভবনের তরফে শাস্তির কোপ নেমে আসে মন্ত্রীর উপরে। চন্দ্রিমাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। শুধু কলকাতা নয় বারাকপুর এবং দার্জিলিং রাজভবনেও তিনি ঢুকতে পারবেন না বলে নির্দেশ দেওয়া হয় নবান্নকে।এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ” আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমাকে রাজভবনে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। রাজভবন কারোর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আমি আইনকানুন বুঝি। উনি যা পদক্ষেপ করার করুন। আমিও থেমে থাকব না।”

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, রাজ্যের রাজ্যপাল যেটা করেছেন সেটা অপরাধ। রাজভবনের ঐতিহ্য এবং গরিমাকে নষ্ট করেছেন তিনি। এদিন বিকেলে মন্ত্রী-চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৃণমূলের মহিলা মোর্চা শুক্রবার বিকেল ৪টেয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করবে। তার আগেই কেরালা ‘পালিয়ে’ যেতে চাইছেন রাজ্যপাল বলেই অসমর্থিত সূত্রের খবর। শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ মোদি রাজভবন ছাড়তেই, বিমানবন্দরে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন সিভি আনন্দ বোস। বেলা বারোটা নাগাদ তিনি কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।