এসএসসিতে চাকরি বাতিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রায় দিয়েছে পুরো প্যানেল বাতিল করার। হাইকোর্টের যে বিচারপতি প্রথম সেই রায় দিয়েছিলেন তিনি এখন আইনের পদ ছেড়ে বিজেপির লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী। গোটা প্যানেল অর্থাৎ অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্য চাকরিহারাদের চাকরি বাতিলের স্ক্রিপ্ট কোথায় লেখা হয়েছিল, তা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মাথায় নরেন্দ্র মোদি হাত রাখার পরই প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই নাটকে নতুন পালক জুড়লেন মোদি। রাজ্যে যখন যোগ্য চাকরিজীবীদের জন্য আইনি পথে সরকার ও এসএসসি-র পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই চালানো হচ্ছে, তখন বাংলায় এসে মোদি বিজেপির নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আইনি পথে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর। প্রথমে চাকরি বাতিলে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার পরে সেই পথে ভোটব্যাঙ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পরে এবার বর্ধমান থেকে যোগ্য চাকরিহারাদের নিয়ে নতুন রাজনীতির পথে মোদি।

“অনেক নির্দোষ লোক আছেন যারা শিক্ষকের চাকরির দাবিদার। অযোগ্যদের জন্য যোগ্য শিক্ষকরা ফেঁসে গেছে। দলের পক্ষ থেকে যোগ্য লোক যারা তাদের পাশে কীভাবে থাকা যায় তা দেখা হবে। ওদের অধিকারের জন্য আমরা লড়ব”, নির্বাচনী প্রচারে শুক্রবার মোদি ঘোষণা করেন। যেখানে চাকরিহারাদের অধিকারের জন্য রাজ্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছে, শুনানিও হয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে, সেখানে বিজেপি নেতারা এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। মোদি এসে সেই চাকরিহারাদের নির্বাচনের তাস হিসাবে খেলা শুরু করলেন।


তিনি রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন, “প্রদেশ স্তরে একটি আইনি সেল ও একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বানাতে হবে। এতে সেই ব্যক্তিরা লাভবান হবেন যাঁদের কাছে উপযুক্ত নথি থাকা সত্ত্বেও অন্যায়ের শিকার হয়েছে। বিজেপি এই শিক্ষকদের আইনি সাহায্যও দেবে এবং ন্যায়ও দেবে।” নির্বাচনী প্রচার মঞ্চে বর্ধামন-দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের দুই প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ও অসীম সরকারকে বসিয়ে এই দায়িত্ব দেন মোদি।
