প্রবল দুর্যোগে উড়তে পারেনি কপ্টার। সেই কারণে বীরভূমের দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায় (Satabdi Ray) ও বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী শর্মিলা সরকারের (Sharmila Sarkar) হয়ে ভার্চুয়াল প্রচার সভা করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Benerjee)। আর দুটি সভা থেকেই সন্দেশখালি নিয়ে মিথ্যাচার ও বাংলার মানুষকে অপমান করার অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক (Abhishek Benerjee)। তাঁর কথায়, বিজেপির মিথ্যাচারের বেলুন চুপসে গিয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে বাংলার ১০ কোটি মানুষকে অপমান করেছে গেরুয়া শিবির। আগে ছিল তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই। এখন সেটা হয়ে গিয়েছে- বাংলা বানাম বিজেপির লড়াই- তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। নাম না করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও ধুয়ে দেন অভিষেক।
এর পরেই তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন, এখানে ধর্ষণ করা হয়নি। ইচ্ছা করে ২০০০ টাকা দিয়ে মহিলাদের সম্ভ্রম নষ্ট করা হয়েছে। গোটা দেশের কাছে ক’টা ভোটের জন্য বাংলার মানুষকে ছোট করেছে বিজেপি।”
এদিনের সভা থেকে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন অভিষেক। বুধবার, বাঁকুড়ায় সভায় যাওয়ার সময় “চোর চোর” স্লোগান দেওয়া হয় তাঁকে। বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনা সামনে আসার পর যেখানে পথসভা করে মায়েরা গর্জে উঠেছিলেন যে, সন্দেশখালির অপমান মানব না, সেই রাস্তায় বুধবার বিজেপির এক নেতা যে শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন, আপনারা দেখেছেন। যাঁরা নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে যাঁরা কথা বলেন, তাঁদের দেখুন।” তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, যাঁরা অন্যদের চোর বলত, সেই বিজেপি নেতাদের এখন “চোর” স্লোগান শুনতে হচ্ছে। অভিষেকের মতে, “ভাল লোকেরা বিজেপি করে না। পাড়ার চোর, চিটিংবাজেরা বিজেপি করে। এঁদের মানসিকতা ভাবুন, শীতলখুচিকাণ্ডের নেপথ্যে যিনি, তাঁকে এখানে প্রার্থী করতে চেয়েছিল বিজেপি। কমিশন প্রার্থীপদ বাতিল করে। এখন ডামি প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি।” গত ১০ বছরে গেরুয়া শিবিরের কোনও নেতা মানুষের খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
এসএসসি মামলা নিয়েও বিজেপি নেতৃত্বকে তুলোধনা করেন অভিষেক। বলেন, “বিজেপি বলেছিল এসএসসি নিয়ে বোম ফেলব। তৃণমূল বেসামাল হবে। মানুষের চাকরি খাওয়ার যে ষড়যন্ত্র, সেই বেলুনে আলপিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্ট যে অর্ডার দিয়েছিলেন, ২৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আমরা মনে করি এখনও বিচারব্যবস্থায় মেরুদণ্ড সোজা রাখা লোকজন রয়েছে বলে দেশটা বেঁচে রয়েছে।” অভিযোগ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, সংবিধান থাকবে, দেশ থাকবে, কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি থাকবে না।