তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতাকে সম্বল করেই প্রকাশিত বিশেষ সংখ্যা ‘আবার বিজল্প’, সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের ডাক

সোমবার কলকাতার প্রেসক্লাবে প্রসূন ভৌমিকের সম্পাদনায় প্রকাশিত হল ‘আবার বিজল্প’। আয়োজনে ‘বিজল্প’। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু , সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, অমর মিত্র, সৈকত মিত্র, সুপ্রিয় চৌধুরী, নাজমুল হক-সহ বিশিষ্টরা।তরুণ কবিদের কবিতাপাঠের মধ্যে দিয়েই সূচনা হল নবযাত্রার।ব্রাত্য বসু বলেন, আমরা বাংলায় কথা বলি বাংলায় গান গাই হিন্দি আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে পারেনি বিজেপি। কলেজ স্ট্রিট নিয়ে নস্টালজিক ব্রাত্য বলেন,একটা সময় কলেজ স্ট্রিট পাড়ায় আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাতাম। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এখনও বিজল্পর কোনও তুলনা হয়না। ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় বিভাজন করছেন, সাম্প্রদায়িক কথা বলছেন। ইতিহাস প্রসিদ্ধ নানান জায়গার নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। অদ্ভূত রাজনীতির দিকে আমাদের ঠেলে দিচ্ছে। মাছ ভাত খাওয়ায় কিছুদিন পরে হাত পরতে পারে।প্রান্তিক অখ্যাতনামা তরুণ কবিদের কবিতাকে জায়গা করে দিয়েছে বিজল্প। কলকাতার সমস্ত সাহিত্যপ্রেমীদের কাছেই ‘বিজল্প’ এক রঙিন স্মৃতি।

সোমবার প্রসূনের কবিতায় প্রতুলের গান, আগলে রাখে ২ এর অডিও ভিসুয়াল প্রকাশিত হয়।প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলেন, জীবনের কথা বলে এই পত্রিকা। প্রতিবাদের কথা বলে। সাহিত্য শুধু গদ্য লেখা নয়। কবিতা কখনও গান হয়, আবার গানও কখনও কবিতা হয়ে ওঠে।প্রসূন ভৌমিক বলেন, আমরা নতুন কবিদের খুঁজেছি সেই সময়ে, এখনও আমরা নতুন কবিদেরই খুঁজছি।” জানা গেল, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখা তরুণ কবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই তাঁদের লেখা সংগ্রহ করেছে ‘আবার বিজল্প’-এর সম্পাদকমণ্ডলী। ‘আবার বিজল্প’-এর সংখ্যায় নতুন করে আত্মপ্রকাশ করেছেন দুই কবি।আবুল বাশার বলেন, কবিতার সঙ্গে রাজনীতিকে মিলিয়েছেন প্রসূন। গান কথা সুর একাকার হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে নাকি সব তালা পড়ে যাবে।‌কী বলতে চাইছেন। বাংলার সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ আজকের এই পত্রিকা। ১৫০ এর মধ্যে ওরা আটকে যাবে।সুপ্রিয় চৌধুরী বলেন, বাঙালি পাঠকের কাছে একটি পরিচিত নাম প্রসূন ভৌমিক। সেই নব্বইয়ের দশকের গোড়াতেই প্রতিদিনের পথ-ঘাটের সঙ্গে বইয়ের দুই মলাটকে মিলিয়ে দেওয়ার আহ্বান নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। একটি পত্রিকার আকারে পথ চলা শুরু করে ‘বিজল্প’, তারপর ক্রমশ শুরু হয় পুরোদমে বই প্রকাশের কাজ। আর ‘বিজল্প’ মানে, কবির কথায়, বিশুদ্ধ সাহিত্যের সঙ্গে বিশুদ্ধ প্রতিবাদ। কবিকে তাই এর আগেও আমরা দেখেছি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের কৃষকদের পাশে গিয়ে কবিতা লিখতে। আর এইসময় সিএএ বিরোধী আন্দোলনের পাশেও আমরা দেখেছি তাঁকে। কবিতার বই ‘আগলে রাখো’ কে সেই আন্দোলনের দলিল হিসাবেই পরিচিত করতে চান তিনি। সবমিলিয়ে এদিন সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে সামিল হন বক্তারা।