ভোট এলেই বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জরি করতে শুরু করেন বিজেপির দিল্লির নেতারা। কিন্তু বাংলাকে, তাঁর নেতাদের চেনেন না, জানেন না মোদি-শাহরা। বিরোধিতা করতে হবে বলেই বিরোধিতা করছেন, কিন্তু কাকে কেন নিশানা করছেন আদৌ জানেন বিজেপির (BJP) দিল্লির নেতৃত্ব! প্রশ্ন উঠছে কারণ, মঙ্গলবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে নির্বাচনী সভা থেকে এমন মন্তব্য করলেন অমিত শাহ (Amit Shah), যা হাস্যকর।

কী বললেন মোদি সরকারের সেকেন্ড ম্যান শাহ?
বাংলার বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে বলতে গিয়ে নিয়োগ, পাচারে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) সঙ্গে এক ব্র্যাকেটে উচ্চরণ করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) আর তাপস পালের (Tapos Paul) নাম। অমিত শাহর কথায়, “নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা দুর্নীতি, গরু পাচার দুর্নীতিতে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না। সবাইকে জেলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে।“ কিন্তু বিদায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাকে জেলে পুরবেন? আপনি তো কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) আর কুন্তল ঘোষকে আলাদা করতে পারেন না। তাপস মণ্ডল আর তাপস পালকে চেনেন না! যে সব দুর্নীতি হয়েছে বলে আপনার অভিযোগ, তার সঙ্গে কুণাল ঘোষ বা প্রয়াত অভিনেতা তাপস পালের দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোনও যোগ আপনাদের অঙ্গুলিহেলনে চলা কেন্দ্রীয় এজেন্সিও পায়নি। শুধু তাই নয়, এই সব দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা আগেই প্রয়াত হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা অভিনেতা তাপস পাল। আর মঞ্চে দাঁড়িয়ে একজন জনপ্রিয় প্রয়াত অভিনেতার নাম অক্লেশে দুর্নীতিতে জুড়ে দিলেন! তার জন্য কোন দুঃখপ্রকাশও করলেন না, অমিত শাহ বা বঙ্গ বিজেপির নেতারা।

এর আগেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান ভুল বলেছেন বিজেপি। সহজপাঠের লেখকের নাম ভুল বলেছেন। রাজ্যের জায়গার নাম ভুল বলেছেন। এখন বিরোধীদের নামও মনে রাখতে পারছে না। কিন্তু ভোট চাই পদ্মশিবিরে! তার জন্য সবাই মিলে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করছেন।

তাঁর নাম নেওয়া হয়েছে শুনে মোক্ষম খোঁচা দিয়ে প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, “মনে হয়, উনি খবর পেয়েছেন এরাজ্যে কট্টর বিরোধী নেতাদের মধ্যে আমি অন্যতম। তাই আমার নামটা বলে ফেলেছেন।” আর রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোট চাইছেন ঠিকই বাংলাকে চেনেন না বিজেপি নেতৃত্ব। হোমওয়ার্কও খুবই দুর্বল।
