মুখ পুড়ল বিজেপির! মালা-হাজি নুরুল প্রার্থিপদ বাতিলের আবেদন খারিজ কমিশনে

0
2

ভোটের ময়দানে এঁটে উঠতে পারবে না বুঝে এখন বিভিন্নভাবে তৃণমূল প্রার্থীদের উত্ত্যক্ত, বিরক্ত করার চেষ্টায় নেমেছে গেরুয়া শিবির। লোকসভা নির্বাচনের চারদফার ভোট গ্রহণ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। সেই দফাগুলিতে তাদের অবস্থা যে ভালো নয় তা বুঝে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। সেই কারণেই এখন বাকি দফাগুলির তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। কমিশনে মুখ পুড়লো বিজেপির। কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় (Mala Ray) ও বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন করেছিলেন মিরাজ মোল্লা নামে এক নির্দল প্রার্থী। হাজি নুরুল ‘নো ডিউস সার্টিফিকেট’ জমা দেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই অজুহাতে হাজি নুরুল ইসলামের প্রার্থী পদ বাতিল করার দাবি জানান। অতি উৎসাহী হয়ে রাজ্য বিজেপির নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি জানান। কিন্তু লম্ফঝম্ফ করলেও নিয়ম জানে না পদ্মশিবির। যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনও বাস্তবতা নেই। হাজি নুরুল ইসলামের ক্ষেত্রে ‘নো ডিউস সার্টিফিকেট’ জমা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ, দশ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে, এই সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয় না। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হাজি নুরুল ইসলামের প্রার্থী পদ বহাল রয়েছে।

কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ের ক্ষেত্রেও মনোনয়ন বাতিলের আবেদন নিয়ে কমিশনে দৌড়েছিল বিজেপি। সেখানে তাদের অভিযোগ ছিল, কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে ইস্তাফা না দিয়ে লোকসভায় প্রার্থী হয়েছেন মালা। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। যা ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর আওতাধীন। ফলে ওই পদে ইস্তফা না দিয়ে লোকসভা ভোটের প্রার্থিপদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া যায় না। উনি ওই পদে থাকাকালীন কোনও বেতন না নিলেও তিনি লাভজনক পদে রয়েছেন বলেই বিবেচ্য হবেন।’’ কিন্তু বিজেপির সব আশায় জল ঢেলে মালা রায়ের মনোনয়নও গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাদের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট রয়েছে মালা রায়ের মনোনয়নপত্র গৃহীত হওয়ার বার্তা।

রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কুণাল লেখেন,
“1) মালা রায়ের মনোনয়ন গ্রহণ করে ওয়েবসাইটে আপলোড করল কমিশন।
2) হাজি নুরুলও বৈধ হবেন। কারণ, সূত্রের খবর, ‘নো ডিউস’ সার্টিফিকেট 10 বছরের মধ্যে প্রাক্তন হওয়াদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নুরুলের 10 বছর অতিক্রান্ত।”

ভুয়ো অজুহাত দেখিয়ে কাজ হল না। এবার ভোটের ময়দানে বাংলার শাসকদলকে লড়তে হবে বিজেপির।