সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাসকে অবিলম্বে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, জামিন যোগ্য মামলায় তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। নিম্ন আদালতের ভূমিকাতেও বিস্মিত হাই কোর্ট। এই নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের ব্যাখ্যা জানতে চান বিচারপতি সেনগুপ্ত। এরপরই বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাসকে অবিলম্বে জামিনের নির্দেশ দেন। এরই পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় যে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ তাও খারিজ করে দেন।

শুক্রবার শুনানি চলাকালীন মাম্পির গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। পিয়ালির বিরুদ্ধে ৪৪৮, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫ সহ সমস্ত জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। প্রথমে তাঁকে সাক্ষী হিসেবে থানায় ডাকা হয়েছিল। তারপর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৯৫এ ধারায় পিয়ালির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় পুলিশ। পিয়ালি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আত্মসমর্পণের আবেদন জানানো সত্বেও তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয় বসিরহাট আদালত। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মাম্পি।

শুক্রবার মাম্পির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে সওয়ালে জানান, গত ৭ মে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। তার দু’দিন পরে ৪১এ ধারায় নোটিশ দেয় পুলিশ। গত ১৪ মে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনযোগ্য ধারায় জামিন নিতে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১২ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালত। প্রথম দিন পুলিশের কেস ডায়েরি না দেখেই হেফাজতে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত। সন্দেশখালির ঘটনায় বহু অভিযোগে বার বার উঠে এসেছে মাম্পির নাম। তার মধ্যে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অসত্য মামলা রুজু করানোর মতো অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি, সন্দেশখালির এক গৃহবধূও সেই অভিযোগ করেন সন্দেশখালি থানায়।

মাম্পির আইনজীবী বলছেন, তাঁর বাড়িতে যখন নোটিশ লাগানো হয়েছিল তখন জামিন অযোগ্য ধারা ছিল না। কিন্তু তিনি যখন আত্মসমর্পণ করেন সেই সময়ে জামিন অযোগ্য ধারার কথা বলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়! এছাড়া নিম্ন আদালতে কেস ডায়রিও পেশ করেনি পুলিশ, এমন অভিযোগ করা হয়েছে। পিয়ালি দাসকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া উচিত জেল থেকে।