ভোটের মাঝেই ফের বিজেপির (BJP) প্রতিহিংসার রাজনীতি। জনভিত্তি নেই, তাই ভরসা এজেন্সি। ফের সিবিআইকে (CBI) কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের দমানোর কৌশল! গতকাল, বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিশাল পদযাত্রার পরদিনই আজ শুক্রবার সাতসকালে কাঁথিতে সিবিআই (CBI) হানা।
একুশ সালের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে এদিন সাতসকালে ৩ নম্বর ব্লকের ভাজাচাউলির দুই তৃণমূল নেতা নন্দদুলাল মাইতি ও দেবব্রত পণ্ডার বাড়িতে হাজির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সঙ্গে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ২৫ মে রাজ্যে ষষ্ঠ দফায় কাঁথিতে ভোট। তার ঠিক আগেই তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রার ঠিক পরের দিনই কেন বেছে নেওয়া হল? এর পিছনে বিজেপির স্পষ্ট চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল।
নেত্রীর পদযাত্রার পর যখন কাঁথিতে টগবগ করে ফুটছে তৃণমূল, ঠিক সেই সময় ছন্দপতন ঘটাতে বিজেপির এই এজেন্সি চক্রান্ত। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে এগরা থানার বাথুয়াড়ি এলাকায় জন্মেঞ্জয় দলুই নামে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ ছিল কাঁথির তৃণমূল নেতা নন্দদুলাল মাইতির বিরুদ্ধে। যদিও সিবিআই-এর তালিকায় নন্দদুলালের নাম নেই। রয়েছে তাঁর ছেলে বুদ্ধদেব মাইতির নাম। এদিন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা বুদ্ধদেবকে না পেয়ে নন্দদুলালকে জেরা করার চেষ্টা করে, তবে ব্যর্থ হয়। অপরদিকে, তৃণমূল নেতা দেবব্রত পন্ডাকে না পেয়ে তার মেয়েকে জেরা করে বলে খবর। এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে সিবিআইয়ের তালিকায় এক নম্বরে নাম থাকা কাঁথি ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশচন্দ্র বেজেরও খোঁজ পায়নি সিবিআই।
ভোটের মুখে সিবিআই হানা নিয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা বলেন, “বৃহস্পতিবারের পদযাত্রা দেখে কাঁথির বিজেপি নেতারা রাতে ঘুমোতে পারেননি। তাই রাজনৈতিকভাবে না পেরে ভোট বানচাল করতে এদিন ভোরে সিবিআইকে মাঠে নামিয়েছে। এর উওর মানুষ দেবে।”