Saturday, November 8, 2025

অপহরণ, মারধর-সহ একাধিক অভিযোগ! পোর্শেকাণ্ডে ধৃত অভিযুক্তের ঠাকুরদাও

Date:

চালককে (Driver) শাসানি ও গায়ের জোরে আটকে রেখে দুর্ঘটনার দায় নিজের কাঁধে নিতে বাধ্য করার অভিযোগ। এবার পুনের (Pune) পোর্শেকাণ্ডে (Porsche) অভিযুক্ত কিশোরের ঠাকুরদা সুরেন্দ্র আগরওয়ালকে (Surendra Agarwal) গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ। আগেই অভিযুক্ত কিশোরের বাবা বিশাল আগরওয়ালকে (Vishal Agarwal) গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার তদন্ত চালিয়ে অভিযুক্তের ঠাকুরদাকে গ্রেফতার পুলিশের। গত রবিবার পুণের কল্যাণনগর এলাকায় দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছে কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার মাত্র ১৫ ঘণ্টার মধ্যে কিশোরের জামিন নিয়ে তোলপাড় মহারাষ্ট্র। শেষমেশ কিশোরকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয় এবং গ্রেফতার করা হয় তাঁর বাবা, ঠাকুরদাকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

সূত্রের খবর, শনিবার ভোর ৩টে নাগাদ আগরওয়াল পরিবারের বাড়িতে হাজির হয়েই অভিযুক্ত কিশোরের ঠাকুরদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে অভিযুক্ত কিশোরের ঠাকুরদা সুরেন্দ্রর বিরুদ্ধে অপহরণ, মারধর এবং শাসানি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তুলেছেন গঙ্গারাম। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার গ্রেফতার করা হয় পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্তের ঠাকুরদাকে। তবে চালকের বিরুদ্ধেও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার দিন ওই কিশোরই গাড়ি চালাচ্ছিল। তার পাশেই বসেছিলেন চালক। কিন্তু দুই ইঞ্জিনিয়ারকে চাপা দেওয়ার পরই ভয় পেয়ে এবং নিজের অন্যায় চাপা দিতে চালকের আসন থেকে সরে যায় অভিযুক্ত। এরপরই সেই জায়গায় গিয়ে বসেছিলেন চালক। সিসিটিভি ফুটেজেও সেই ছবি দেখা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ঘটনার পরই গাড়ির চালক গঙ্গারামকে ধমকান অভিযুক্ত কিশোরের বাবা, মা এবং ঠাকুরদা। কিশোরকে পুলিশ এবং আইনি সমস্যা থেকে দূরে রাখতে দুর্ঘটনার পরই তাঁকে চাপ দিয়েই দায় নিজের কাঁধে নিতে বাধ্য করিয়েছিল আগরওয়াল পরিবার। যেমন কথা তেমন কাজ, এরপর বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে গঙ্গারামের দাবি, কিশোর নয় চালকের আসনে ছিলেন তিনিই। যদিও এরপর থেকেই চালকের বয়ান নিয়ে পুলিশের মনে হাজারো প্রশ্ন আসতে শুরু করে। এরপরই পুলিশ বুঝতে পারে চালক নিজের ইচ্ছায় নয়, আগরওয়াল পরিবারের জোরেই এমন কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন চালক গঙ্গারাম। আর এমন খবর সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে ইয়েরওয়াড়া থানার দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গত রবিবার পুণের কল্যাণনগর এলাকায় দুই ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে মারার অভিযোগ উঠেছে কিশোরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে কিশোরের জামিন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় মহারাষ্ট্রে। শেষমেশ কিশোরকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁর বাবা, ঠাকুরদাকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

 

Related articles

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...
Exit mobile version