দলবদলু নেতার নির্দেশে কেন্দ্র বদল, কাঠিবাজি করে হারানো হয়েছে! দিলীপের নিশানায় কে?

0
2

৪ জুনের আগে পর্যন্ত তাঁর সাকসেস রেট ছিল ১০০ শতাংশ। যখন যেখানে ভোটে দাঁড়িয়েছেন সেখানেই বিপক্ষের হেভিওয়েটদের হারিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন লোকসভা হোক কিংবা বিধানসভা, তাঁর আমলে এ রাজ্যে বিজেপির সাফল্য ঈর্ষণীয়। সেই সাফল্য আর কোনও রাজ্য সভাপতির হাত ধরে আসেনি।

এবার ভোটে হেরে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, দলের এক নেতার নির্দেশে তাঁর আসন বদল করা হয়। এভাবেই তাঁকে হারানো হয়েছে। তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য দলবদলু শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তিনি কারও নাম করেননি। মেদিনীপুরে নিজের চেনা আসন ছেড়ে চক্রান্ত, কাঠিবাজি করে দিলীপ ঘোষকে অন্য জায়গায় লড়তে পাঠানো হয়।

তখন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ফল ছিল চমকপ্রদ। à§§à§® আসনে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের দখলে ছিল ২২ আসন। এবার উল্টো ফল! এক্সিট পোলকে ভুল প্রমাণ করে যখন ২৯ আসনে জিতল তৃণমূল, তখন বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ১২ আসন! এমনকী, হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে গতবারের জেতা আসনও। হেরেছেন দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এমনকী, হারতে হারতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

এদিকে ২০১৯-এ যে আসন থেকে জিতেছিলেন বিজেপির বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি, ২০২৪-এ সেই মেদিনীপুরে প্রার্থী ছিলেন অগ্নিমিত্র পল। তিনিও হেরেছেন। আর বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে ভোট লড়েছিলেন দিলীপ, কিন্তু জিততে পারেননি।

আরও পড়ুন- ফের মোদিকেই ‘নেতার মুখ’ করে এগোবে NDA, সিদ্ধান্ত বৈঠকে

সবমিলিয়ে বিজেপিতে এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। এক গোষ্ঠী লোক আর এক গোষ্ঠীর লোককে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন, হারিয়ে দিয়েছেন। পরিস্থিতি এমনই যে, খোদ মোদি-শাহের নেতৃত্বও প্রশ্নের মুখে। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখান করেছে। আর দলবদলু শুভেন্দু বঙ্গ বিজেপিকে হাইজ্যাক করে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।