নিজের বুথে মাত্র ৭ ভোটে “বড় প্রাপ্তি” সৃজনের! পাড়াতেই পরাজিত দীপ্সিতা

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে অন্যতম দুই চর্চিত নাম, সিপিএমের তথাকথিত ‘যৌবনের দূত’ সৃজন ভট্টাচার্য ও
দীপ্সিতা ধর। এই দুই প্রাক্তন ছাত্র নেতানেত্রীকে সামনে রেখে এবার “শূন্য” ছাড়ার স্বপ্নে বুঁদ ছিল সিপিএম। কিন্ত সবুজ ঝড়ে স্বপ্নভঙ্গ! ‘নিজের ঘরেও মুখরক্ষা হল না’ সৃজন কিংবা দীপ্সিতার।

নিজের ওয়ার্ডেই মুখ থুবড়ে পড়েছেন যাদবপুরের সৃজন ভট্টাচার্য। শুধু হেরেছেন বললে ভুল হবে। হোম-ওয়ার্ড ১০৬ নম্বরেই সৃজন তৃতীয় হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই, যে নতুন মুখ নিয়ে সিপিএমের এত ঢক্কানিনাদ, নেট মাধ্যমে ‘হাল ফেরানোর’ আস্ফালন, তিনি নিজের ওয়ার্ডেই পরাজিত।সেখানে দ্বিতীয় হয়েছে বিজেপি। প্রায় ১১০০ ভোটে ‘লিড’ পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডেরই হালতুর কায়স্থপাড়ার বাসিন্দা সিপিএমের তথাকথিত ‘যৌবনের দূত’ সৃজন। গোটা যাদবপুর জুড়ে জোরকদমে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। ‘র‍্যাপ সং’ থেকে ‘এআই’ নির্ভর প্রচার, কোনও কিছুই বাদ দেয়নি। কিন্তু এত কিছুর পরেও যাদবপুর লোকসভা আসনে তৃতীয় বামেরা। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল পেয়েছে ১০ হাজার ১৯৩ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি পেয়েছে ৯১০১ ভোট। তৃতীয় স্থানে ৬৮৪৪ ভোট টেনেছেন বামেদের এই যুবনেতা। তবে, নিজের পাড়ার বুথে কিছুটা মুখরক্ষা হয়েছে সৃজনের। সেখানে তিনি মাত্র ৭ ভোটের লিড নিয়েছেন! দীর্ঘ ২ মাসের বিরাট পরিশ্রমের এটাই সিপিএম প্রার্থীর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি!

অন্যদিকে, গগনচুম্বী আশা জাগিয়েও ব্যর্থদের তালিকায় স্থান হয়েছে দীপ্সিতা ধরের। নিজের পাড়াতেই জয়ের মুখ দেখতে পারেননি সিপিএমের আরেক তাজা মুখ শ্রীরামপুরের প্রার্থী দীপ্সিতা ধরও। হারতে হয়েছে তৃণমূলের কাছে। শুধু তাই নয়, শ্রীরামপুর লোকসভায় অন্তর্গত ডোমজুড় বিধানসভায় তাঁর হোম-গ্রাউন্ডেও ‘থার্ড’ তিনি। রাজনীতির কারবারিদের ব্যাখ্যা, প্রচারের ঢক্কানিনাদে হেভিওয়েট হয়ে উঠলেও, বাস্তবে ‘প্রভাবহীন’ বামেদের নবপ্রজন্ম। খোদ নিজের পড়াতেই হেরেছেন। ডোমজুড় বিধানসভার বালি নিশ্চিন্দার ১৮৯ নম্বর বুথেই তৃণমূলের কাছে হারতে হয়েছে তাঁকে। ওই বুথে তৃণমূলের সংগ্রহ ৩৫৭ ভোট, সিপিএম ২৯৪ এবং বিজেপি ১৯৯। শুধু তাই নয়, ডোমজুর বিধানসভার বাসিন্দা হয়েও সেখানে দ্বিতীয় স্থান পাননি বাম প্রার্থী। ডোমজুড় থেকে যেখানে তৃণমূলের সংগ্রহ ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৮২ ভোট, সেখানে দ্বিতীয় বিজেপি পেয়েছে ৭০ হাজার ৬৯ ভোট এবং সিপিএমের দীপ্সিতা পেয়েছেন মাত্র ৩৬ হাজার ৭৬৮ ভোট।

আরও পড়ুন- লকেট হারতেই “পিণ্ডদান”, “মাথা ন্যাড়া”! প্রায়শ্চিত্ত হুগলির বিজেপি কর্মীদের