বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদে জে পি নাড্ডার পরে কে? রবিবার নাড্ডার শপথ গ্রহণের পরে বারবার এই প্রশ্ন উঠে এসেছে বিজেপির অন্দরে। যদিও এই মাসেই তাঁর সভাপতিত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ারও কথা ছিল। তবে বিজেপির মোদি জমানায় নাড্ডার মতো নির্বিবাদী নেতা সব নেতাদেরই পছন্দের ছিলেন। কার্যত তাঁকে সামনে শিখণ্ডির মতো বসিয়ে বিজেপির যাবতীয় কাজ পরিচালনা করতেন মোদি-শাহ। এবারেও সেই পথেই হাঁটবে বিজেপি, না কি সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই সভাপতি নির্বাচন করা হবে, তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।

জে পি নাড্ডার পরে এই পদের প্রথম দাবিদার বলে রাজনৈতিক মহল যাকে মনে করছে তিনি অনুরাগ ঠাকুর। এবার মন্ত্রিসভায় তাঁকে রাখা হয়নি। জে পি নাড্ডা যেমন পার্বত্য রাজ্য হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা তেমনই অনুরাগও হিমাচলেরই সাংসদ। গত কয়েক বছরে মোদির মন্ত্রিসভা ও মন্ত্রিসভার বাইরে গোটা দেশে দলীয় কর্মসূচিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অনুরাগ।

মোদি লবির পছন্দসই নেতাদের মধ্যে যে নামগুলি উঠে আসছে তার মধ্যে অন্যতম রাজস্থানের ওম মাথুর। মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যের সরকার গঠনে তাঁর ভূমিকা তিনি প্রমাণ করেছেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই মোদির সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক। সেই সঙ্গে উঠে আসছে মহারাষ্ট্রের নেতা বিনোদ তাওড়ের নামও। এবিভিপি রাজনীতি থেকে উঠে আসে বর্তমান এই জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ২০২২ থেকে সর্ব ভারতীয় স্তরে সংগঠনের কাজে সফল প্রমাণিত হয়েছেন।

তবে সভাপতি নির্বাচনের গোটা বিষয়টি শুধুমাত্র বিজেপির উপর নির্ভর করবে, না আরএসএস সেখানে বড় ভূমিকা পালন করবে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। সেক্ষেত্রে আরএসএস শিবির থেকেও কিছু নাম উঠে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম সুনিল বনসল। উত্তরপ্রদেশে মোদি জমানায় বিজেপির প্রচার প্রসারে বড় ভূমিক নিয়েছিলেন বিজেপির এই জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই সাফল্য থেকেই তাঁকে ফের ওড়িশার দায়িত্বও দেওয়া হয়। সেখানেও কাজটি যে তিনি সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করেছেন ২০২৪ তার প্রমাণ। পাশাপাশি প্রাক্তন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নামও রয়েছে আলোচনায়। আরএসএস থেকে উঠে আসা কোটার এই সাংসদ মোদি ও অমিত শাহ দুজনেরই খুব পছন্দের তাঁর মিতভাষিতার জন্য।
