জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়িতে যেতে গেলে লাগবে সচিত্র পরিচয়পত্র! কিন্তু কেন? কোথায় আছে এই বিচিত্র নিয়ম

রাত ফুরোলেই জামাইষষ্ঠী। এখন থেকেই জামাই আদরের তোড়জোড় শুরু হয়েছে অনেকের শ্বশুরবাড়িতে। তবে জামাইদের শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার আগে জোরকদমে চলছে আধার কার্ডের সংশোধনের কাজ! কিন্তু কেন?

বাঙালিদের কাছে জামাইষষ্ঠী অলিখিত উৎসব। সঙ্গে পেটপুজো তো আছেই। জামাইরা সকাল-সকাল কেউ মিষ্টির হাঁড়ি, কেউ আম, লিচুর প্যাকেট হাতে হাজির হন শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু এসব ছাড়াও চর মেঘনার জামাইদের মিষ্টির হাঁড়ি, আম, লিচুর প্যাকেটের সঙ্গে নিজের আধার কার্ড বা সরকারি পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হতে হয় শ্বশুরবাড়িতে। তা না হলে ফিরে আসতে হবে শ্বশুরবাড়ির দুয়ার থেকে। ব্যাপারটা কী? কেন দরকার আধার কার্ড?

নদিয়ার হোগলবেড়িয়া থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১২০ নম্বর কাঁটাতারের গেট পেরোলে চর মেঘনা। পরিচয়পত্র জমা দিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুমতি নিয়ে তবেই মেলে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার অনুমতি। তবে শুধু গেলেই হবে না, ফিরছেন কবে, সেটাও স্পষ্ট করে জানাতে হবে বিএসএফকে। সচিত্র পরিচয়পত্রের ছবির সঙ্গে মুখের একটু অমিল খুঁজে পেলেই আটকে দেওয়া হয় জামাইদের। সোজা খবর যায় শ্বশুরবাড়িতে। তার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে জামাইয়ের পরিচয় নিশ্চিত করলে তবেই গ্রামে ‘এন্ট্রি’ মেলে জামাইবাবাজির। তাই জামাইষষ্ঠীতে আম-জাম, কাঁঠাল, মিষ্টির হাঁড়ি— হাতে উপহার থাকুক বা না-ই থাকুক, চর মেঘনার জামাইদের পকেটে আধার কার্ড থাকতেই হবে।

আরও পড়ুন- দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এবার থেকে দু’বার হবে পড়ুয়া ভর্তি, জানাল ইউজিসি

 

 

Previous articleউত্তর প্রদেশে ইন্ডিয়া জোটের ৬ জন নবনির্বাচিত সাংসদের ভবিষ্যৎ ঝুলে
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ