রাজভবনের সামনে BJP-র ‘নাটক’! ১৪৪ ধারায় আটকে খালি হাতে ফিরলেন বিরোধী দলনেতা

লোকসভা ভোটের পরাজয় আর সেই দায় থেকে নজর ঘোরাতেই বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনের সামনে চূড়ান্ত নাটক বিজেপির (BJP)। ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও ২০০ কর্মী-সমর্থককে আক্রন্ত বলে দেখিয়ে রাজভবনে ঢুকতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। কিন্তু নিয়ম মেনেই তাঁকে সেই অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপরেই সেখানে বসে গা জোয়ারি করেন বিজেপি বিধায়ক। শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজের বক্তব্য বলে চলে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি সত্যিই তাঁর কাছে রাজভবনে ঢোকার অনুমতি থাকে এবং রাজ্যপাল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান, তাহলে কেন সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) নিজে তাঁকে ডেকে নিলেন না? বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপির কারণ সবচেয়ে বড় ঘরছাড়া দিলীপ ঘোষ। আগে বিজেপি তাঁর বিষয়টা দেখুক। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ঠিক আছে। তাঁর কথায়, এটা বিজেপির নাটক। যাঁদের ঘর ছাড়া বলে বিজেপি এনেছেন, তাঁদের সাজিয়ে আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ।এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল বলে দাবি করে রাজভবনের সামনে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে একটি বাসে ছিলেন বিজেপির ‘আক্রান্ত’-রা। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায় রাজভবনের বাইরেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এর পরই কেন আটকানো হল, তা নিয়ে চূড়ান্ত নাটক করেন বিরোধী দলনেতা। প্রায় ঘণ্টাখানেক বসে থেকেই সুবিধে করতে না পেরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, রাজ্যপালের দফতরের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে বলা হয়, রাজভবনের বাইরের চত্বর কলকাতা পুলিশের অধীনে। তাই এ বিষয়ে তাঁদের কিছু করার নেই। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন যদি রাজ্যপাল দেখা করতেই চাইতেন, তাহলে তিনি কাউকে দিয়ে ডেকে পাঠাতেন অথবা সেই মতো নির্দেশ পাঠাতেন। আসল তিনিও দেখা করতে চাননি।

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, রাজ্যপালের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সেই নিয়ে তিনি নাজেহাল। এই নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। তার দায় কার, সেই নিয়ে বিজেপি নেতাদের মধ্যে দায় ঝেড়ে ফেলার প্রতিযোগিতা চলছে। সেই সব থেকে নজর ঘোরাতেই এই নাটক। এর পরেই তীব্র কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, বিজেপিতে সবচেয়ে বড় ঘরছাড়া এখন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে নিয়ে ভাবুক বিজেপি। বাংলায় শান্তি বজায় আছে।

বিজেপি নেতার এই গা জোয়ারির ফলে দিনের ব্যস্ত সময় রাজভবনের সামনের রাস্তায় প্রবল যানজট হয়। দুর্ভোগে পড়েন পথচলতি মানুষ।