গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। আর তার জেরে পাহাড়ের গায়ে ভাঙা বাড়ি থেকে বড় গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এমনকী রাস্তাঘাটে ধস নামার জেরে বুকে আতঙ্ক নিয়ে আটকে আছেন পর্যটকরা। তিস্তার গর্জনে ভয় পাচ্ছেন সকলেই। উত্তর সিকিমে একাধিক ধস নামার জেরে এখন দু’হাজার পর্যটক সেখানে আটকে রয়েছে। অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়ার জেরে উদ্ধারকাজ পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। পর্যটকরা নিরাপদ আশ্রয়ে আছে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তিনদিন হয়ে গেল সেখানে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে রবিবার হেলিকপ্টারে পর্যটকদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির জেরে রাস্তার একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। বিকল্প হিসাবে যে সড়কপথে পর্যটকদের নামিয়ে আনার কথা ভাবা হয়েছিল, তা আপাতত হচ্ছে না। সোমবার বৃষ্টি কমলে এবং পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলে নতুন করে উদ্ধারকাজ আরম্ভ করা হবে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পর্যটকদের উদ্ধার করা হবে। তবে আবহাওয়া একই রকম খারাপ থাকলে সড়কপথে বিকল্প ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, সোমবার উত্তর সিকিমের টুং থেকে পাঁচ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা পায়ে হেঁটে পেরোতে হবে আটকে পড়া পর্যটকদের।
এদিকে হড়পা বান এবং ধসে ভেসে যাওয়া সড়ক ও সেতু পুনর্নিমাণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সীমান্ত সড়ক সংস্থা (বিআরও) এবং সেনাবাহিনী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে নির্মাণকাজ।