Thursday, August 21, 2025

দক্ষিণ গাজায় বেশি পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে আক্রমণে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী। ওই অঞ্চলের কিছু অংশে তাদের সামরিক কার্যকলাপে প্রতিদিন কৌশলগত বিরতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কতা ঘোষণার পর রবিবার আইডিএফ এই ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করে।ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী রবিবার বলেছে, তারা আরও মানবিক সাহায্য প্রবেশের সুযোগ দিতে দক্ষিণ গাজার একটি রাস্তা বরাবর ‘সামরিক কার্যকলাপের কৌশলগত বিরতি’ রাখবে। এই বিরতি শুধু একটি রুটের জন্য কার্যকর হবে, যা মূল কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে উত্তর দিকে গিয়েছে। ক্রসিংটি গাজা ও ইজরায়েলের মধ্যে অবস্থিত। বিরতি শনিবার শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এটি চলবে।

গাজায় মানবিক সংকট যাতে আরও খারাপ না হয়, ইজরায়েল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে,এই ঘোষণা ‘জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা’ অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে।মানবিক বিরতির পথটি গাজার দক্ষিণে অবস্থিত কেরাম শালোম ক্রসিং থেকে প্রধান মহাসড়ক সালাহ আল-দিন রোড পর্যন্ত এবং তারপর উত্তর দিকে খান ইউনিস শহরের কাছে ইউরোপিয়ান হাসপাতালের দিকে বিস্তৃত।এদিকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে সহায়তা করা অ্যাকশনএইডের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বিরতি ত্রাণ সরবরাহে সাহায্য করবে।

জানা গিয়েছে, অ্যাকশনএইড ‘গত কয়েক সপ্তাহে কেরাম শালোম থেকে গাজায় যাওয়ার চেষ্টা করা ত্রাণবাহী গাড়ির ওপর উল্লেখযোগ্য আক্রমণ’ দেখেছে।এক মাসেরও বেশি সময় আগে ইজরায়েলি সেনারা রাফা শহরে প্রবেশ করেছে। তারা মিশরের সঙ্গে থাকা রাফা ক্রসিংয়ের গাজার অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অনেক মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পর থেকে লাখ লাখ মানুষ রাফা থেকে পালিয়ে গিয়েছে। ক্রসিংটি এক মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে, অথচ সাহায্য পাঠানোর সেটিই প্রধান পয়েন্ট। ইজরায়েল বলেছে, হামাসকে তাদের ‘শেষ প্রধান শক্ত ঘাঁটি’ থেকে বিতাড়িত করার জন্য রাফাতে তাদের অভিযান জরুরি।অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গাজায় একটি ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে এবং আরও সাহায্যের জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেছেন, গাজার বাসিন্দাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ‘নজিরবিহীন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির’ সম্মুখীন। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় ওসিএইচএ জানিয়েছে, মে মাসে জ্বালানি ছাড়া গাজায় সাহায্য সরবরাহকারী ট্রাকের দৈনিক গড় সংখ্যা ছিল ছিল ৯৭টি। এপ্রিলে এই সংখ্যাটি ছিল ১৬৯ এবং মার্চ মাসে ছিল ১৩৯। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রতিদিন জ্বালানিসহ প্রায় ৫০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত।

 

Related articles

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...

নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত

ধর্মতলার কর্মসূচির নামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। বুধবার গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui)। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ...

নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে...

মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে তৃণমূলকে নিশানা মোদির, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল

রাজ্যে কয়েকটি মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ-নিয়ে বৃহস্পতিবারই তিনি এক্স হ্যান্ডলে...
Exit mobile version