লক্ষ্য রেকর্ড শস্য উৎপাদন, পরিকল্পনা রূপায়ণে একাধিক পদক্ষেপ রাজ্যের

খরিফ ও রবি মরশুমে রেকর্ড শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছে। ফসল ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, রাজ্যের অধীন কৃষি খামারগুলিতে আরও বেশি সংখ্যায় ফলের গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খামারগুলিতে পর্যাপ্ত জলের জোগান নিশ্চিত করতে পুকুর কাটা হবে। এছাড়া দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মতো পাহাড়ি এলাকায় ধানের বদলে বিকল্প চাষের উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলের পাশাপাশি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মতো অন্য রুক্ষ এলাকাগুলিকেও এমন অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলায় জেলায় কতটা সারের প্রয়োজন এবং কতটা জোগান রয়েছে, তা দেখতে এলাকায় এলাকায় কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা যাবেন বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারের অতিরিক্ত দাম নিলে ডিলারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলার কৃষি আধিকরিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারের জোগান ঠিক রাখতে কেন্দ্রকেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, কৃষিক্ষেত্রে এরাজ্যকে মডেল নির্বাচিত করেছে কেন্দ্র। রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজও রাজ্যে ভালোভাবে রূপায়িত হয়েছে। মূলত রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার কাজে রাজ্য নতুন নজির গড়েছে । ফলে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক এক বৈঠকে পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যের আধিকারিকদের সামনে এরাজ্যকে মডেল হিসেবে তুলে ধরেছে কৃষিমন্ত্রক। রাজ্যের কৃষি পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিটি জেলার সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন কৃষিসচিব ওঙ্কার সিং মিনা, কৃষি অধিকর্তা আশুতোষ মণ্ডল। নবান্ন সূত্রে খবর, এই বৈঠকেও রাজ্যের এই সাফল্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আরও কোন কোন ক্ষেত্রে বেশি নজর দেওয়ার প্রয়োজন সে বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন- জালিয়াতির আশঙ্কায় ২০২৪ ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বা.তিল করল NTA

Â