এবার সি.লিকোসিস আক্রান্তদের চি.কিৎসার জন্য রাজ্য জুড়ে শিবির করবে স্বাস্থ্য দফতর

দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরেও বসানো হবে শিবির। এই নিয়ে মানুষকে সচেতন করবেন আশা কর্মীরা।

এতদিন রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ধরনের শিবির আয়োজন করা হতো। তবে এবার উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জায়গাতেই শিবির করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি এই সিলিকোসিস রোগ সম্পর্কে সচেতন করবে আশা কর্মীরা। সিলিকোসিস শনাক্তকরণ এবং আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু এলাকাতেই বসত সরকারি শিবির। সেই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল রাজ্যের বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং আক্রান্তদের একাংশ। এ বার গোটা রাজ্যে, এমনকি উত্তরবঙ্গেও এই বিষয়ে নজর দেবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরেও বসানো হবে শিবির। এই নিয়ে মানুষকে সচেতন করবেন আশা কর্মীরা।
সাধারণত পাথর খাদান বা মার্বেলের খাদানে যারা কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে সিলিকোসিস রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেশি। পুরুলিয়া, আসানসোল, বীরভূম, রামপুরহাট, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এলাকায় এতদিন সিলিকোসিস রোগীদের জন্য শিবির করত স্বাস্থ্য দফতর। এবার রাজ্যের সর্বত্র এই শিবির করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান এলে সেই টাকা দিয়ে আশা কর্মীদের সচেতনতার কাজে লাগানো হবে।

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সিলিকোসিসে মৃত ও আক্রান্ত পরিবার, যাদের আবেদনপত্র এক বছর আগে জমা পড়েছে, তাদের পেনশন আগামী এক মাসের মধ্যে শ্রম দফতর দিয়ে দেবে। সিলিকোসিস আক্রান্তের পরিচয়পত্র থাকা শ্রমিকদের বিনা পয়সায় যাতায়াতের বন্দোবস্ত করবে পরিবহণ দফতর।
উল্লেখ্য, সিলোসিস আক্রান্তদের জন্য রাজ্য জুড়ে শিবির করার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। হাইকোর্টের নির্দেশে স্বাস্থ্য, শ্রম, পরিবহণ দফতরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মামলাকারীরা। এদের মধ্যে ছিলেন আইনজীবী শামিম আহমেদ, নন্দিনী মিত্র, পরিবেশ দূষণ পর্যদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির দাবি, রাজ্যের যে সব এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা খাদান বা মার্বেল কারখানায় কাজ করতে যান, তাঁদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ যথেষ্ট বেশি। যেমন দুই ২৪ পরগনা, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। এ সব জায়গা থেকে অনেকেই রাজস্থানে মার্বেল কারখানায় কাজ করতে যান। ওই পরিযায়ী শ্রমিকেরাও আক্রান্ত হন সিলিকোসিসে।