Sunday, August 24, 2025

NEET-এর পর্দাফাঁস: ফাঁকা খাতা জমা দিয়েও কীভাবে এত নম্বর? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

Date:

ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে উত্তাল দেশ। তবে সময় যত গড়াচ্ছে ততই দুর্নীতির জাল আরও প্রকট হচ্ছে। শুধু নিট (NEET) পরীক্ষা বললে ভুল হবে, একের পর এক সর্বভারতীয় পরীক্ষাই এবার বন্ধের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Govt)। ইতিমধ্যে নিট দুর্নীতিকাণ্ডে বিহার থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে কীভাবে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল? এবার মোদিরাজ্য গুজরাটের গোধরা থেকে ধৃত একটি সেন্টারের শিক্ষকের থেকে জানা গেল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কীভাবে ফাঁকা খাতা জমা দিয়েও নিটে দারুণ র‍্যাঙ্ক পেল পরীক্ষার্থীরা তার আসল রহস্য জানালেন তিনি। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে তাঁদের উত্তরপত্র পূরণ করে দিয়েছিলেন ওই সেন্টারের শিক্ষকই।

তিনি আরও জানিয়েছেন, মোদিরাজ্যের গোধরার ওই সেন্টারে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের সঠিক উত্তর লিখে দেওয়া হয়েছিল। যারা টাকা দিয়েছিলেন, তাদের আগেই বলা হয়েছিল, যে প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবে না, সেটি যেন ফাঁকা রাখা হয়। পরে ওই স্কুলের ফিজিক্সের শিক্ষক তুষার ভাট সেই প্রশ্নগুলির উত্তর লিখে দিয়েছিলেন। ধৃতের থেকে আরও জানা গিয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যে যত বেশি টাকা দেওয়া হবে, নিট পরীক্ষায় র‌্যাঙ্ক-ও তত বেশি ভাল হবে এমনটাই চুক্তি হয়েছিল। আর তারপরই শুরু হয় টাকা নিয়ে দরাদরির আসল খেলা। অন্যদিকে, জানা যাচ্ছে মূল অভিযুক্তের নাম পরশুরাম রায়। তিনিই নিট পরীক্ষায় পাশ করানোর র‌্যাকেটের মূল মাথা। রায় ওভারসিজ কোম্পানি নামে একটি সংস্থা চালাতেন পরশুরাম। তাঁর সঙ্গী ছিল তুষার ভাট নামক এক যুবক। তিনি গোধরার জয় জলরাম স্কুলের শিক্ষক। অভিযুক্ত পরশুরামের কাছে পরীক্ষার্থীরা টাকা দিয়েছিলেন। আর তার জেরেই গোধরার জয় জলরাম স্কুলের দুটি সেন্টারে পরীক্ষার্থীদের সিটও পড়ে। আর তারপরই চলে ফাঁকা খাতায় নম্বর বাড়ানোর কারসাজি। এরপরই গুজরাটের গোধরার এই সেন্টারে বেনিয়মের অভিযোগ আসার পরই গ্রেফতার করা হয়েছিল স্কুলের প্রিন্সিপাল, শিক্ষক ও কোচিং সেন্টারের মালিক সহ ৫ জনকে। অন্যদিকে, প্রবেশিকা পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ঠিক কি উত্তর লিখতে হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের পাশাপাশি তাঁদের অভিভাবকদেরও তলব করেছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, অনেক অভিভাবকদের সমন পাঠিয়ে তলব করা হলেও তাঁরা আসেননি। কিন্তু তাঁদের পুনরায় সমন পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

গোধরার ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট এনভি প্যাটেল সাফ জানিয়েছেন, “নিট মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সমন পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তারা হাজিরা দেননি। ফের তাঁদের সমন পাঠানো হবে।”

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version