প্রচারে সুনককে জাতিবিদ্বেষী আক্রমণ! প্রতিবাদে গর্জে ওঠার বার্তা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। জোরদার প্রচারে নেমেছে শাসক-বিরোধী দুপক্ষই। সেই প্রচার চলাকালীনই দেশের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে (Rishi Sunak) জাতিবিদ্বেষী আক্রমণের অভিযোগ উঠল রিফর্ম ইউকে পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের বিরুদ্ধে। পাল্টা গর্জে উঠেছেন সুনক।২০২২ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সুনক। কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি ব্রিটেনের আমজনতার আস্থা গত কয়েকমাসে প্রায় তলানিতে। একের পর এক সমীক্ষায় প্রকাশ, ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে এবার সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এই পরিস্থিতিতে দলের মতকে নস্যাৎ করে দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণা করেন সুনক। ৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঋষি। এই পরিস্থিতিতে জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে তাঁকে।

ভোটপ্রচারে নেমে ব্রিটেনে (Britain) জোরদার প্রচার চালাচ্ছে রিফর্ম ইউকে পার্টি। হল ব্রিটেনে অভিবাসী প্রবেশ নিষিদ্ধ করার অ্যাজেন্ডা নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে তারা। ফলে তারা নিশানা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনককে। তবে, শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি নাইজেল ফারাজের দল। মুসলিমদের মসজিদ থেকে বের করে সেখানে পানশালা তৈরি করারও কথা বলেছেন রিফর্ম ইউকে পার্টির নেতারা।

এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি বলেন, “আমার দুই মেয়েও দেখেছে ওই নেতার মন্তব্য। দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত। আমার ক্ষুব্ধ। এই বিষয়টি নিয়ে ইচ্ছা করেই কথা বলছি। কারণ এটার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা প্রয়োজন।“

ঘৃণাভাষণের অভিযোগে রিফর্ম ইউকে-র একাধিক প্রার্থীকে নাম প্রত্যাহার করতে হয়েছে। কিন্তু তাও তাদের বিদ্বেশমূলক মন্তব্য বন্ধ হয়নি।





Previous articleনিউমার্কেটে দুপক্ষের ধুন্ধুমার, রাস্তা আটকে বিক্ষোভে হকাররা
Next articleইউরো কাপের আরেক প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আজ জার্মানির সামনে ডেনমার্ক