কাঞ্চনজঙ্ঘার পরে কাঞ্চনকন্যা, চালকের তৎপরতায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

অত্যন্ত দ্রুততায় এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন কাঞ্চনকন্যার চালক। ততক্ষণে ট্রেনটি প্রায় রেলগেট ছুঁয়ে ফেলেছে। কিন্তু অল্পের জন্য এড়ানো যায় দুর্ঘটনা

রেলের চূড়ান্ত গাফিলতি ও গোটা ব্যবস্থার হাজারো খামতি নিয়েই রোজ হাজার হাজার ট্রেন চালাচ্ছেন চালকরা। কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্ঘটনায় যা আরও একবার প্রমাণিত। আর তার থেকেই শিক্ষা নিয়ে এখন আরও সতর্ক শিয়ালদহ বিভাগের দূরপাল্লার রেলের চালকরা। তারই জেরে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস বাঁচল বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে। সেই সঙ্গে উত্তরের চা বাগানের স্থানীয় বাসিন্দারা বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন।

শিয়ালদহগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস মঙ্গলবার চালসা থেকে মালবাজারের দিকে আসার পথে চালক দেখতে পান শোনগাছি এলাকার রেলগেটটি খোলা। এই রুটে দূরপাল্লার ট্রেন চালান যে তাঁদের রেলগেট ও সিগনালের আন্দাজ থাকাই স্বাভাবিক। সেই মতো রেলগেটের দিকে নজর করতেই তিনি দেখেন রেলগেট খোলা। আশ্চর্যজনকভাবে সিগনাল সবুজ। অর্থাৎ রেলগেট বন্ধ থাকবে সেই আশাতে সিগনাল বদলে গিয়েছে। অথচ খোলা রেলগেট দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে সাইকেল, বাইক থেকে চারচাকা গাড়ি।

অত্যন্ত দ্রুততায় এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন কাঞ্চনকন্যার চালক। ততক্ষণে ট্রেনটি প্রায় রেলগেট ছুঁয়ে ফেলেছে। কিন্তু অল্পের জন্য এড়ানো যায় দুর্ঘটনা। আর এরপরেই চালক সহ বাকি রেলকর্মীদের নজর যায় রেলগেটের ঘরটিতে। সেখানেও গেটম্যানকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় রেলকর্মীদের। যদিও গেটম্যানের ঘরে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান ঘরেই রয়েছেন তিনি। শুধু রেলগেট ফেলতে ভুলে গিয়েছিলেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

একমাসও হয়নি, এই উত্তরের জেলাতেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সেই ক্ষত শুকানোর আগেই ফের রেলের গাফিলতিতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হল উত্তরের জেলাতেই। সোনগাছি চা বাগান এলাকায় জনবসতি কম হলেও এই রেলগেটে প্রতিনিয়ত গাড়ি যাতায়াত করে। চালক শুধুমাত্র সিগনালের উপর ভরসা রেখে গাড়ি চালালেই ঘটে যেতে পারত আরও এক দুর্ঘটনা।

Previous articleসাতসকালে অর্থলগ্নি সংস্থার প্রাক্তন কর্মীর বাড়িতে হানা ইডির! নিউ ব্যারাকপুরে চাঞ্চল্য 
Next articleদুর্যোগের মধ্যেই বিশেষ বিমানে বার্বাডোজ থেকে দেশে ফিরছেন রোহিত-কোহলিরা