সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জেরে অগ্নিগর্ভ কেনিয়া (Kenya)। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৯ জনের। রাষ্ট্রীয় কর নীতির প্রতিবাদ চলছে কেনিয়ায়। মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বে জর্জরিত সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই ঘাড়ে চেপেছে অতিরিক্ত করের (Tax) বোঝা। এই পরিস্থিতিতে বিগত ১৫ দিন ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ কেনিয়া। প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো (William Ruto) গত সপ্তাহে কর বৃদ্ধি সম্বলিত বিলটি প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন। তারপরেও আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার থেকে নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন। কেনিয়ার প্রধান খাদ্য রুটির উপরে চাপানো হয়েছে ১৬ শতাংশ কর। এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ।

রাজধানী নাইরোবিতে দফায় দফায় সাধারণ মানুষ-পুলিশ সংঘর্ষ হয়েছে গত সপ্তাহ ধরে। ১৮ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর বিরুদ্ধে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে এখনও পর্যন্ত ৩২টি মামলা এবং ৬২৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার প্রায় সব ধরনের পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয় কেনিয়ার পার্লামেন্টে। প্রস্তাবটি পাসের সঙ্গে সঙ্গেই পার্লামেন্ট চত্বর সহ পুরো নাইরোবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্ট চত্বরের একটি পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগ। এই পরিস্থিতিতে গত রবিবার কেনিয়ার সরকারি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন উইলিয়াম রুটো। সেই ভাষণে তিনি বলেছেন, এতগুলো মৃত্যুর জন্য পুলিশ দায়ী নয়। নিজেদের মধ্যে সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন মানুষজন। পদত্যাগের পরিকল্পনাও যে তাঁর নেই, তাও জানিয়েছেন।

এদিকে রবিবারের এই ভাষণ সম্প্রচারের পর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা এখন ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগও শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার ডাকও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
