বিডিওর আইবুড়ো ভাত: সামাজিক অনুষ্ঠান নিয়ে নোংরা রাজনীতি বিজেপির

বর্ধমান ১ ব্লকের বিডিও রজনীশ যাদবের আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করেন অফিসের সহকর্মীরা। আর তা নিয়েই অ়যথা জলঘোলা করতে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। ওই অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী ও বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্তকে বিডিওর প্রণাম করা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সরকারি আধিকারিক কি একজন নেত্রীর পায়ে হাত দিতে পারেন, এই প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির তরফে অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করা হয়। যদিও বিডিও এবং তৃণমূল নেত্রী দুজনেই স্পষ্ট কণ্ঠে নিঃসঙ্কোচে জানিয়ে দেন, এটাই ভারতীয় সংস্কৃতি। এই দেশের ঐতিহ্য এবং পরম্পরাই বড়দের প্রণাম করতে শেখায়। আর সবটাই তো হয়েছে অফিস ছুটির পর। তাই এখানে বিতর্কের কোনও জায়গাই নেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, বিডিএ চেয়ারম্যান এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ যুবনেতা মানস ভট্টাচার্য বিডিওকে বসিয়ে আপ্যায়ন করছেন। তাঁর গলায় মালা পরিয়ে, শাঁখ বাজিয়ে আশীর্বাদ করা হচ্ছে। এই ছবি পোস্ট করে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা নিয়ে অযথা প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিডিও রজনীশ যাদবের কথায়, ‘অফিসে কাজ শেষের পর সহকর্মীরা ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বাড়ি যেতে পারি না। তাই সহকর্মীদের ডাকে সাড়া দিই। বিডিএ-র চেয়ারম্যান আমার মায়ের বয়সী। উনি আমাকে আশীর্বাদ করায় ওঁকে প্রণাম করি। বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা ভারতীয় সমাজে অন্যায় নয়। এই শিক্ষা তো ভারতীয় সংস্কৃতিই দিয়েছে। কাজ ফেলে তো আর অনুষ্ঠানে যাইনি। আইন মেনেই কাজ করি। প্রণাম করলেই নিরপেক্ষতা নষ্ট হয় এটা ভাবার কারণ নেই।’ বিডিএ চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত বিজেপির এই ধরনের অপপ্রচারের জবারে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘ওদের আসলে কাজ নেই। কখনও মানুষের পাশে থাকে না। তাই মানবিক বিষয় নিয়েও রাজনীতি করতে নেমে পড়েছে। এটাই ওদের কালচার। তবে লাভ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী  নিজে আমাদের এই মানবিকতা আর সৌজন্য শিখিয়েছেন।’ এদিকে এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে বিডিও রজনীশ যাদবকে চিঠি দিয়েছেন জেলাশাসক।

আরও পড়ুন- সমর্থকদের ভালোবাসায় চোখে জল পন্থের, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন সেকথা

 

Previous articleসমর্থকদের ভালোবাসায় চোখে জল পন্থের, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন সেকথা
Next articleমুম্বই পুলিশকে কুর্নিশ বিরাট-জাদেজার, দিলেন বিশেষ বার্তা