“রাজনীতি করতে চাই না, সরকার ক্ষতিপূরণ বাড়াক”!হাথরসের স্বজনহারাদের কাছে রাহুল

অভিশপ্ত ২ জুলাই উত্তরপ্রদেশের হাথরসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক ঘটনার জেরে দেশজুড়ে শোকের ছায়া। ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরির সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২৬ জনের। যার মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। মৃতদের তালিকায় বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। এবার স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।

আজ, শুক্রবার সাতসকালে দিল্লি থেকে সড়কপথে হাথরসের উদ্দেশে রওনা হন রাহুল (Rahul Gandhi)। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ছিলেন রাজ্য কংগ্রেস প্রধান অজয় ​​রাই, রাজ্য কংগ্রেসের ইনচার্জ অবিনাশ পান্ডে, পার্টির মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে এবং অন্যান্য পদাধিকারীরা।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিল্লি থেকে সড়কপথে রওনা হওয়ার পরে সকাল ৭.১৫ নাগাদ আলিগড়ের পিলাখনা গ্রামে পৌঁছান। হাথরসে পদদলিত হয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। পদদলিত হয়ে মারা যাওয়া ১২১ জনের মধ্যে ১৭ জন আলিগড়ের এবং ১৯ জন হাথরসের বাসিন্দা। স্বজনহারাদের প্রতি সমবেদনা জানান। পাশে থাকার বার্তা দেন।

রাহুল বলেন, “অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং বহু মানুষ মারা গিয়েছে। আমি এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। ব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে। আমি মনে করি দুর্ঘটনাগ্রস্তদের আরও বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। কারণ, তারা খুবই দরিদ্র। আমি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে অধিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের আরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। পরিবারের সদস্যদের দাবি যে সেদিন পুলিসের ব্যবস্থা যথেষ্ট ছিল না।”

আরও পড়ুন:ভরসন্ধেয় ফের কলকাতায় চলল গুলি! টালিগঞ্জের লেক অ্যাভিনিউয়ের আবাসনে চাঞ্চল্য