টানা বৃষ্টিতে খারাপ পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে। সেখানে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী । তবে সোমবার একাধিক ইস্যুতে ফের কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবারও মনিটরিং সিস্টেম চালু করতে হবে। গঙ্গার ভাঙন ঠেকাতে ড্রেজিংও করেনি কেন্দ্র। আজ পর্যন্ত কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। না জানিয়ে বলছে ফের ফরাক্কা চুক্তি পুনর্নবীকরণ করবে। আবার বলছে তিস্তার জলও দিয়ে দেবে। তার প্রশ্ন, তিস্তার জল আছে যে দিয়ে দেবে? উত্তরবঙ্গের কেউ খাবার জল পাবে না। সিকিমে ১৪টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র করল, তখনই তো দেখা উচিত ছিল। আমরা বারবার বলেছি, কিন্তু কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, তাই এত দুর্ভোগ। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করেও, রেহাই পাচ্ছি না। রাস্তায় ধস নেমেছে, সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রকে জানাতে হবে। ওই রাস্তা দিয়ে সেনাবাহিনী যাতায়াত করে, এটা ওদের জানাতে হবে। জলপাইগুড়িতে ৯টি ফ্লাড সেন্টার তৈরি করা হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গঙ্গার ভাঙন কেন্দ্রের দেখার কথা। ১০-১২ বছর ধরে ফরাক্কার ড্রেজিং করেনি। বাংলাদেশের সঙ্গে যখন চুক্তি হয়, তখন কথা ছিল, বাংলাদেশে যে জল যাচ্ছে, আমাদের যাতে সমস্যা না হয়, ড্রেজিং করা হবে। ভাঙনে অনেক বাড়ি তলিয়ে গেছে। ৭০০ কোটি টাকার প্যাকেজ তৈরি হয়। আজ পর্যন্ত দেয় কোনও টাকা দেয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, আমাদের না জানিয়ে ফরাক্কা চুক্তি রিনিউ করা হচ্ছে। বাংলায় বর্ষা বেশি। নদীমাতৃক দেশ। এখানে নীদ, সমুদ্র, পুকুর বেশি। অনেক পুকুর কেটেছি। জল ধরি, ভরি। উপকূলীয় অঞ্চলও রয়েছে। উত্তরবঙ্গ বন্যায় ভাসছে। সিকিমে বৃষ্টি। ধস নেমেছে। পর্যটক আটকে। তারা যাতে ফিরে আসতে পারেন, দেখতে হবে।বর্ষায় পাহাড়ে অ্যাডভেঞ্চার না করাই ভাল। গরমে যান।