লোকসভা নির্বাচনের পরে সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই ইন্দিরা গান্ধীর আমলের জরুরি অবস্থা-কে ইস্যু করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি। মন্ত্রিসভা গড়তে যেহেতু নিজেদের ভ্রান্ত নীতির কারণে জনসমর্থন হারিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, তাই এবার ইতিহাস থেকে খুঁড়ে বিরোধীদের বিরোধিতার পথে নরেন্দ্র মোদি পরিচালিত কেন্দ্র সরকার। ২৫ জুন সংবিধান হত্যা দিবস হিসাবে ভারতীয় রাজপত্রে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। পাল্টা মোদিকে চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোমের দাওয়াই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর।

যে জরুরি অবস্থার দোহাই দিয়ে বিরোধীদের প্রতিরোধের দাবি করছেন নরেন্দ্র মোদি সেই জরুরি অবস্থা বিজেপির সময়ে কীভাবে দেশকে ক্ষতির মুখে ফেলেছেন, শুক্রবার সেটা উল্লেখ করেন মমতা। তিনি দাবি করেন, “দেশে সবথেকে বেশি এমার্জেন্সি মোদিজির সময়েই হচ্ছে। ১৪৭ সাংসদকে বাদ দিয়ে যে ন্যায় সংহিতার নামে যে ক্রিমিনাল ল বদলে দিলেন, আমরা বুঝতেই পারলাম না সেটা কী হল। তার কারণ কী?”

এই দিবসের উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, সংবিধান হত্যা দিবস উদযাপন আমাদের মনে করিয়ে দেবে কীভাবে আমাদের সংবিধানকে পদদলিত করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে আমরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো যাঁরা ভারতের ইতিহাসে কংগ্রেসের বয়ে আনা অন্ধকার দিনে জরুরি অবস্থার মধ্যে পড়ে কষ্ট পেয়েছিলেন।

নরেন্দ্র মোদির দাবির পাল্টা কেন্দ্রের নতুন অপরাধ আইনের উদাহরণ টেনেই দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে নিজের কীর্তির বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, “এমার্জেন্সি আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু এমার্জেন্সি সময়ে ওনারা এরকম ঘোষণা করলেন। প্রথমে চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম।”
