সুমন করাতি, হুগলি
বঙ্কিমচন্দ্রের নবকুমার পথ হারিয়েছিল। আর আরামবাগের নবকুমার লড়াই করেছেন পথের দাবিতে। জমানা বদলেছে কিন্তু রাস্তা হয়নি। পথের দাবিতে বহু পথ হেঁটেছেন আরামবাগের গুপ্ত পাড়ার লড়াকু শিক্ষক নবকুমার গুপ্ত। শেষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের সামনে রাস্তায় শুয়ে রাস্তার দাবি জানান অশীতিপর প্রাক্তন শিক্ষক। গাড়ি থেকে নেমে সব শুনে আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক। প্রায় ৮ বছরের লড়াই শেষে রাস্তা হল। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই উদ্যোগে আপ্লুত নবকুমার ও তাঁর পাড়ার বাসিন্দারা।
গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসংযোগ করতে ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ যাত্রায় বেরিয়ে ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আরামবাগেও আসেন। ভালিয়া থেকে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি, সেই সময়ে তাঁর কনভয়ের সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়ে গাড়ি আটকান বৃদ্ধ মাস্টারমশাই। হইচই পড়ে যায়। গাড়ি থেকে নেমে অভিষেক সেই বৃদ্ধ শিক্ষিক নবকুমার গুপ্তের কাছে যান। পুরো ঘটনা শোনেন। আশ্বাস দেন, খুব শিগগিরই রাস্তার কাজ হবে। আর যাঁরা কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরপর দিনই জেলা পরিষদ ও জেলাশাসকের অফিস থেকে প্রতিনিধিরা আসেন। যাবতীয় তথ্য নিয়ে যান। প্রকল্প পাঠান। অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জয় হয় ৮১ বছরের বৃদ্ধ মাস্টারমশাইয়ের। তৈরি হয়েছে রাস্তা। এর জন্য আপ্লুত বৃদ্ধ নবকুমার শুধু বার বার ধন্যবাদ জানাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।