জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের শিয়ালদহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল চাকরির মেলা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনিন্দ্য দত্ত, অধিরাজ দত্ত, গোরা দত্ত, গৌরব দত্ত ও শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টরা।জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ গোরা দত্ত এই চাকরির মেলার উদ্বোধন করেন। রিলায়্যান্স জিও, ডাইকিন, আই, এফ.বি, টাটা, টো, টয়োটা, এল,জি, হোন্ডা, স্যামসাং, অ্যাপেল- এর মতো ১০০টির বেশি স্বনামধন্য কোম্পানিএই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল ।

৫০০ জনেরও বেশি ফাইনাল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা চাকরির মেলায় অংশগ্রহণ করে।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিদের বক্তব্য, ভারতীয় শিক্ষাক্ষেত্রে ১০৪ বছরের ঐতিহ্যশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জর্জ টেলিগ্রাফের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জর্জ টেলিগ্রাফের সাফল্যের জন্য এখানকার শিক্ষক- শিক্ষিকা ও কর্মীদের অবদান সবচেয়ে বেশি, যারা প্রতিনিয়ত নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন। এর পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে ও সঠিক পথ দেখিয়ে তাদের কর্মজীবনকে সুনিশ্চিত করে তুলছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই চাকরির মেলা।
অতিথিরা চাকরির মেলা নিয়ে বলেছেন, জর্জ টেলিগ্রাফ বিগত ১০৪ বছর ধরে ছাত্র ছাত্রীদের সাফল্যই সর্বোত্তম, এই অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়ে এসেছে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যাবধান দূর করাই বরাবরের মতো এবারও প্রতিশ্রুতি ছিল জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের। যার প্রভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যেই প্রতিফলিত হয়েছিল।

জর্জ টেলিগ্রাফের অধিকর্তা অনিন্দ্য দত্ত বলেন, আমরা এমন একটা প্লেসমেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করব, যা কর্মক্ষেত্রের প্রচলিত ধ্যানধারণার গন্ডিকে অতিক্রম করবে এবং যার প্রত্যেকটি পদক্ষেপ ভবিষ্যতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এভাবেই আমরা একত্রিতভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে কর্মসংস্থানকে সুনিশ্চিতভাবে ও নবরূপে তুলে ধরব, যা সমগ্র কর্মজগতে বিশেষ প্রভাব ফেলবে। জর্জ টেলিগ্রাফের ছাত্র ছাত্রীরাও তাদের কর্মদক্ষতার জোরে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের চাকরির সুযোগ করে নিচ্ছে। বিগত বছর গুলির মতো ২০২৪ এর চাকরির মেলা ভবিষ্যতের তরুণ পেশাদারদের জন্য আরও এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে, যা আগামী দিনে তাদের কর্মজীবনকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।
