অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!

ছাত্র আন্দোলনের (Student agitation) জেরে অগ্নিগর্ভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University) এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী এদিন স্থানীয় সময় ৬টার মধ্যে ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে (Bangladesh) সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুব আন্দোলনের তেজ বেড়েই চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘কোটা’ মন্তব্যের প্রতিবাদ করে ইতিমধ্যে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, শাহজাহাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পড়ুয়ারা। আর এই আন্দোলন চলাকালীন এবার বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেদেশের সরকারের তরফে প্রতিনিধিরা বলছেন আন্দোলন দমনে কঠোর পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না সরকার। এই অবস্থায় শিক্ষার্থী এবং আবাসিকদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর।


সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা। সোমবারই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল ছাত্র লিগের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগেরই ছাত্র সংগঠন হল ছাত্রলিগ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার দু’জন, চট্টগ্রামের তিনজন ও রংপুরের একজন রয়েছেন। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ দাবি করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

বুধবার সারাদিনেই ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থেমে থেমে ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী বিরোধী ছাত্র সমাজের ব্যানারে একটি সংগঠন গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠানো বক্তব্যে জানা যায় তারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। হলগুলোর ভেতরে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়েছেন, আদালতের চুড়ান্ত রায় মেনেই তাঁরা সবকিছু করবেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, আদালতের বিষয় আদালতেই সমাধান হওয়া উচিত। কোটা আন্দোলনকারীদের দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং সংবিধান সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। সেকারণেই তাঁরা এমন করছেন।


Previous articleএবার বাংলার পাঠক্রমে যুক্ত হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডানের ইতিহাস
Next articleবিহার গ্যাংস্টার সুবোধের জেল, বাড়ল না সিআইডি হেফাজত