মোদির স্লোগান বদলের দাবি শুভেন্দুর! হতাশা-অবসাদ থেকে মন্তব্য: ধুয়ে দিলেন কুণাল

নির্বাচনে ভরাডুবি। ব্যর্থতার দায় ঠেলাঠেলির মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ স্লোগান বদলের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। এটা সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের, বিজেপির বিরোধিতা। সমালোচনার ঝড় দলের অন্দরেই। তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, বারবার হারের ফলে হতাশা, অবসাদ থেকে এই ধরনের কথা বলছেন রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। একই সঙ্গে বিজেপিতে সংখ্যালঘু সেল তুলে দেওয়ার শুভেন্দুর প্রস্তাব নিয়েও কটাক্ষ করেন কুণাল। তাঁর কথায়, উগ্র হিন্দুত্বের বিকৃত বিপণন করে বিজেপি।এবার নয়, অনেক আগে থেকেই ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ স্লোগান চালু করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বাংলায় লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হতেই সেই স্লোগান বদলানোর দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। রাজ্য বিজেপির বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠক ছিল বুধবার। সায়েন্স সিটির অডিটোরিয়ামে সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতি, বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা। সেখানেই ওই প্রস্তাব দেন শুভেন্দু।  শুধু তাই নয়, সাংগঠনিক বদলের প্রস্তাবও দেন বিজেপি। তাঁর দাবি, বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রয়োজনীয়তাই নেই। তাঁর স্পষ্ট কথা, ”নো নিড ফর সংখ্যালঘু মোর্চা।” এই মন্তব্যের পরেই তীব্র আলোচনা শুরু হয়। বিজেপির মধ্যে থেকেই মোদির স্লোগানের বিরোধিতায় শুভেন্দুর গলায় ফাটানোর তীব্র নিন্দা করেন অনেক দলীয় নেতা-কর্মী।

এই বিষয় নিয়েই শুভেন্দুকে ধুয়ে দেন কুণাল। তাঁর কথায়, এটা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা। আমরা বারবার বলেছি, এই স্লোগান ভুয়ো। এবার দলের মধ্যে থেকেই সেই কথা বলা হচ্ছে।

তৃণমূল নেতার মতে, লোকসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির ফলে হতাশা, অবসাদ থেকেই এই কথা বলছেন বিজেপি নেতা। কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, লাগাতার হার থেকে নজর ঘোরানোর জন্য এই মন্তব্য করতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। দলের মধ্যে থেকেই নরেন্দ্র মোদিকে শুনতে হচ্ছে, এই স্লোগান চলবে না।

এরপরেই মোক্ষম খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, “বিজেপির ভিতর থেকেই শুভেন্দুর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ব্যাখ্যা দিতে হবে। বলতে হবে, ‘ওই ভাবে বলতে চাইনি’”

সংখ্যালঘু সেল তুলে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে তোপ দেগে তৃণমূল নেতা বলেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। উন্নয়নের কাজ করে না। বিজেপি ধর্মের নামে রাজনীতি করে। এই প্রস্তাবকে উগ্র হিন্দুত্বের বিকৃত বিপণন বলে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল। তাঁর কথায় এটা ভারতীয় সংবিধানের ভাবাবেগে আঘাত করে। গেরুয়া শিবিরের কাজই হল, উগ্র হিন্দুত্বের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।

বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দুই বিজেপি সাংসদ। জানালেন, কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ”অনেক বিধায়ক যোগ দিতে চাইছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখছেন। সময় দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারিখ অনেক পড়ে আছে।” তাঁর কথায়, তৃণমূলের শহিদ দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁরা মঞ্চে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২জনেই জানেন। ওই দুই সাংসদ সদ্য জিতে আসা, তাই দলবিরোধী আইন দেখা হচ্ছে। তাঁদের আপাতত বলা হয়েছে বিজেপিতে থেকে ভিতরের খবর দিতে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন কুণাল ঘোষ।






Previous articleবিচ্ছেদের পর ফের বিয়ে! পরকীয়ার তকমা দিয়ে দম্পতিকে নারকীয় নির্যাতন
Next articleহাইপ্রোফাইল বিয়ের সাধপূরণ, আকাশপথে নববধূকে উড়িয়ে নিয়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের তরুণ